শিশুর হাতে মোবাইল মানেই মনে হয় যেন ক্ষতি হবে, এমনটা নয়। সঠিক ব্যবহারে মোবাইলও হয়ে উঠতে পারে শিশুদের প্রকৃত বন্ধু।
এখন প্রযুক্তির সঙ্গে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে স্মার্টফোন ভীষণ সাধারণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। মোবাইলের প্রতি শিশুদের বাড়ন্ত আসক্তিতে এর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে চোখ ও মানসিক বিকাশের উপর ক্ষতি সবচেয়ে বেশি।
তবে শুধু ক্ষতি না হয়, সঠিক ব্যবহারে মোবাইলই হয়ে উঠতে পারে খুদের প্রকৃত বন্ধু। জেনে নিন তা কীভাবে সম্ভব।
১। শিশুর অসুস্থতার সান্ত্বনায় দিতে পারেন মোবাইল
যদি আপনার সন্তান কোনও গুরুতর অসুস্থতায় ভোগে এবং শারীরিকভাবে সক্রিয়তা কমে যায়, তবে মানসিক অবসাদ দূর করতে গল্পের বই, ছবি আঁকা ইত্যাদির পাশাপাশি সীমিত সময়ের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন বাচ্চা কী দেখছে। কার্টুন দেখাতে পারেন, আবার ভালো গান শোনাতে পারেন, শিক্ষামূলক ভিডিও দেখাতে পারেন।
২। সৃজনশীল কনটেন্ট দিন হাতে
রিলস বা শর্ট ভিডিও দেখতে দেবেন না ভুলেও। এই অভ্যাস শিশুর ধৈর্য ও মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। বরং আঁকা, গান, নতুন কিছু শেখার ভিডিও বা গল্প শোনা ইত্যাদির মতো শিশুদের সৃজনশীলতা বাড়ায় এমন কিছু দেখতে দিন। তাতে খুদের নিজে থেকে কিছু করার আগ্রহ তৈরি হবে।
৩। মোবাইল দেখা পুরোপুরি বন্ধ নয়, সময় বেঁধে দিন
যে জিনিস যত বেশি নিষেধ করবেন, তার প্রতি ততই শিশুর আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই মোবাইলকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ না করে, বরং সময় বেঁধে দিয়ে নিয়ম করে দিন ব্যবহাড়ের জন্য। এতে শিশুর মধ্যে সময়ানুবর্তিতা গড়ে উঠবে এবং সে শিখবে নিয়ম মেনে চলতে।
৪। শর্ত ধরে দিন, নির্দেশ চাপিয়ে দেবেন না
আজকালকের শিশুদের ওপর নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া যায় না, তারা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। বরং তাকে বুঝিয়ে বলুন, শর্ত বেডজে দিন যে, মোবাইল ব্যবহারের পরে তাকে অন্য সৃজনশীল বা শারীরিক কোনো কাজও করতে হবে—যেমন ছবি আঁকা, খেলাধুলা বা পড়াশোনা। এই শর্তে শিশুরা সহজেই রাজি হয়ে যায় এবং অভ্যাস তৈরি হবে যাবে।
