৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই সন্তানকে এগুলি শিখিয়ে দিন, তাহলে আর চিন্তা থাকবে না
- FB
- TW
- Linkdin
শিশুদের জন্মের পর ৫ বছর বয়সের মধ্যেই ভবিষ্যতের জন্ম কিছু শিক্ষা দেওয়া উচিত
শিশুদের প্রাথমিক বিকাশের বছরগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটিই তাদের সামগ্রিক সুস্থতার ভিত্তি। আর বাবা-মায়েরা ভালো জীবনযাপনের শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটি একটি আদর্শ সময়। সেই দিক থেকে, প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের পাঁচ বছর বয়সের আগে কিছু ভালো গুণ শেখানো। সেগুলি কী কী, তা এই লেখায় দেখে নেওয়া যাক।
জীবনে চলার পথে সবসময় কাজে লাগবে এমন কিছু শিক্ষা দেওয়া উচিত শিশুদের
বিনয় ও শ্রদ্ধা
শিশুদের প্রাথমিক বিকাশ থেকেই তাদের শেখানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গুণ হল বিনয় ও শ্রদ্ধা। অন্যদের প্রতি, বিশেষ করে বয়স্কদের প্রতি, সর্বদা বিনয়ী ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা উচিত বলে শেখানো উচিত। এছাড়াও, বিনয়ী শব্দ, ক্ষমা চাওয়া, ধন্যবাদ এবং দয়া করে – এই সাধারণ শব্দগুলি শিশুদের অবশ্যই শেখানো উচিত।
ভাগাভাগি করা
ভাগাভাগি করা সম্পর্কে অবশ্যই শিশুদের শেখানো উচিত। কারণ এই গুণটি শিশুদের বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে এবং সামাজিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, খেলনা, খাবার বা অন্য কোনও জিনিস ভাগ করে নিতে তাদের উৎসাহিত করা উচিত।
অনুভূতি প্রকাশ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শিক্ষা অবশ্যই দেওয়া উচিত
অনুভূতি প্রকাশ করা
শিশুদের কীভাবে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে হবে তা বাবা-মায়েরা শেখানো উচিত। অর্থাৎ রাগ, বিরক্তি, হতাশা, হতাশা – এই শব্দগুলি কীভাবে অনুভূতির মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে তা শেখান।
স্বাস্থ্যবিধি
শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কেও কিছু মৌলিক বিষয় শেখানো গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও, বাইরে খেলে আসার পর হাত-পা ধুতে হবে। আরও, দাঁত ঠিকমতো ব্রাশ করতে হবে, প্রতিদিন গোসল করতে হবে – এই ধরনের ভালো অভ্যাসের গুরুত্ব শেখানো এবং উৎসাহিত করা উচিত। এটি তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক হবে।
একদম ছোট থেকেই শিশুদের স্বনির্ভর হওয়ার শিক্ষা দেওয়া উচিত, তাহলে ভবিষ্যতের চিন্তা থাকে না
পরামর্শ শোনা
আপনার শিশুদের আপনার কথা এবং পরামর্শ শুনতে অভ্যস্ত করুন। বড়দের কথা মেনে চলা উচিত বলে বলুন। এতে তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে উঠবে।
স্বনির্ভরতা
শিশুদের ছোটবেলা থেকেই তাদের এই গুণগুলি উৎসাহিত করলে তাদের দক্ষ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, তাদের পোশাক নিজেরাই বেছে নেওয়া। এতে তারা স্বাধীন চিন্তাভাবনায় বড় হবে।
শিশুদের ঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেওয়া এবং বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া উচিত
সময়ের গুরুত্ব
ছোটবেলা থেকেই শিশুদের সময়ের গুরুত্ব শেখানো জরুরি। আর তাদের জন্য একটি রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী সময়ের গুরুত্ব শেখান এবং তা মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।
আগ্রহ বৃদ্ধি করা
শিশুদের আগ্রহ জেনে তাতে তাদের উৎসাহিত করা প্রতিটি বাবা-মায়ের কর্তব্য। আপনার শিশু যদি নতুন কিছু শিখতে চায়, অনেক প্রশ্ন করতে চায়, তাহলে তাদের উৎসাহিত করুন। এতে শিশুদের সৃজনশীলতা বিকশিত হবে।