Parenting Tips: যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি শিশুদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তাদের বয়স অনুযায়ী কথা বলুন, ভয়ঙ্কর খবর থেকে দূরে রাখুন এবং নিয়মিত রুটিন বজায় রাখুন। খেলাধুলা এবং ইতিবাচকতার মাধ্যমে তাদের মন শান্ত রাখুন।

Parenting Tips: আজকাল যুদ্ধ, হিংসা বা যেকোনো ধরনের সামাজিক সংকট কেবল বড়দেরই নয়, শিশুদের নিষ্পাপ মনকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করে। টিভিতে আসা খবর, বাড়ির বড়দের উদ্বেগপূর্ণ কথা এবং চারপাশের ভয় শিশুদের মনে নিরাপত্তাহীনতা, ভয় এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এমন পরিবেশে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই লেখায় আমরা আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস বলব, যা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে শিশুদের মন শান্ত রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে।

কথা বলুন, কিন্তু সীমার মধ্যে

শিশুদের কাছ থেকে সত্য লুকানোর প্রয়োজন নেই, তবে তাদের বয়স অনুযায়ী তথ্য দেওয়া উচিত। খোলামেলা কথা বলুন, তবে ভয় সৃষ্টি করার মতো কথা বা দৃশ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। শান্ত এবং সহজ ভাষায় তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন।

টিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন

শিশুরা টিভিতে দেখানো যুদ্ধ সংক্রান্ত দৃশ্য বা ভয়ঙ্কর খবর যত কম দেখবে, ততই ভালো। ঘরের পরিবেশকে নিউজ চ্যানেল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন এবং শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখার চেষ্টা করুন।

নিয়মিত রুটিন বজায় রাখুন

উত্তেজনাকর পরিবেশেও শিশুদের জন্য রুটিন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো ঘুমানো, খাওয়া, পড়াশোনা এবং খেলাধুলা তাদের স্থিতিশীলতার অনুভূতি দেয়। এতে তাদের মন শান্ত থাকে।

তাদের খেলাধুলায় ব্যস্ত রাখুন

শিশুদের ছবি আঁকা, রং করা, সংগীত, নৃত্য বা বোর্ড গেমে ব্যস্ত রাখুন। এই সৃজনশীল কার্যকলাপগুলি মানসিক চাপ দূর করতে খুবই কার্যকর। একই সাথে, এগুলি তাদের মনকে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যায়।

শিশুদের ইতিবাচক রাখুন

শিশুদের বলুন যে আপনি তাদের সাথে আছেন, তাদের কোনও ক্ষতি হবে না এবং ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। এই আশ্বাস তাদের জন্য সুরক্ষার ঢাল হিসেবে কাজ করে।

নিজেকে শান্ত রাখুন

শিশুরা বড়দের অনুভূতি খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে। যদি বাবা-মা নার্ভাস বা সবসময় উত্তেজিত থাকে, তবে শিশুরাও তেমন অনুভব করবে। তাই, নিজেকে সুষম এবং শান্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।