শিশু প্রচন্ড পেট ব্যাথা হলে সেক্ষেত্রে হতে পারে অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন। যেমন হতে পারে তীব্র পেটে যন্ত্রণা, পায়খানায় কোষ্ঠকাঠিন্যতা, খাবার হজম না হওয়া।
শিশুদের তীব্র পেটে ব্যথা হলে তা কেবল হজমের সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করা উচিত নয়! কারণ এটি অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেন (abdominal migraine)-এর কারণেও হতে পারে। এই অবস্থায়, শিশুদের পেটে তীব্র ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। এই সমস্যাটিকে অবহেলা না করে সঠিক চিকিৎসা করানো জরুরি।
* অ্যাবডোমিনাল মাইগ্রেনের লক্ষণ কী :
* তীব্র ও হঠাৎ ব্যথা: হঠাৎ করে পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এবং কয়েক ঘন্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
* ব্যথার স্থান: সাধারণত নাভির চারপাশে ব্যথা অনুভূত হয়।
* অন্যান্য উপসর্গ: বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া সাধারণ উপসর্গ।
* হজমের সমস্যার লক্ষণ গুলি কী:
* পেট ফাঁপা: গ্যাস বা বদহজম হলে পেট ফাঁপা লাগতে পারে।
* ঢেকুর ওঠা: অতিরিক্ত খাবার খেলে ঢেকুর উঠতে পারে।
* পায়খানার সমস্যা: কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে।
* সাধারণ অস্বস্তি: পায়খানা করার সময় অস্বস্তি বোধ হতে পারে।
* কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন :
শিশুর যদি ঘন ঘন বা তীব্র পেটে ব্যথা হয় এবং তা সহজে না কমে। যদি ব্যথার সাথে জ্বর, ডায়রিয়া বা বমি হয়। যদি শিশু খাওয়া-দাওয়া করতে না পারে বা খুব দুর্বল লাগে। যদি ব্যথার কারণে শিশুর স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
* কিছু ঘরোয়া প্রতিকার (চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী)
* বিশ্রাম: শিশুকে বিশ্রাম নিতে উৎসাহিত করুন এবং শারীরিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখুন।
* পর্যাপ্ত জল পান: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল এবং তরল পান করান।
* সহজপাচ্য খাবার: সহজপাচ্য খাবার যেমন ভাত, রুটি এবং আপেল খেতে দিন।
* বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: কোনোভাবেই নিজে থেকে ওষুধ দেবেন না। সেখানে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।


