সংক্ষিপ্ত
নিয়মিত চুলের যত্ন রাখার তালিকায় সবার আগে শ্যাম্পুর নামই আসে। তবে এই শ্যাম্পুই কিন্তু বেশ ক্ষতি করছে আপনার শরীরের।
বাইরের ধুলো ময়লায় চুলের গোড়ার বারোটা বাজার বাকি নেই আর। যার ফল বারবার শ্যাম্পু (Repeatedly shampooing)। সুন্দর চুল (beautiful hair) কে না চায়, কিন্তু সুন্দর চুল পেতে গিয়ে বারবার শ্যাম্পুর ফলে অজান্তেই ডেকে আনছেন বড়সড় ক্ষতি (causing great damage)। বয়স ত্রিশ না পেরোতেই অনেকের চুল ঝরতে শুরু করে। এমনকি গোছা গোছা চুলও পরে যায়।
নিয়মিত চুলের যত্ন রাখার তালিকায় সবার আগে শ্যাম্পুর নামই আসে। তবে এই শ্যাম্পুই কিন্তু বেশ ক্ষতি করছে আপনার শরীরের। লন্ডন ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ১০ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি, তাদের চুল ঝরে যাওয়া বিষয়ে চুলের ভুল প্রোডাক্টকে দায়ী করেছেন। মূলত চুলের জন্য সঠিক পণ্য ব্যবহার না করার ফলেই বেড়ে চলেছে চুলের সমস্যা।
অকালে চুল পড়া, পেকে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো ক্রমশ বাড়ছে। এর মূল কারণ হিসেবে গবেষকরা দেখাচ্ছেন চুলের গড়ন ও প্রকৃতি অনুসারে শ্যাম্পু ব্যবহার না করা সহ আরো কিছু কারণ। শ্যাম্পু কেনার সময় চুলের প্রকৃতি দেখে কি কেউ কিনি। হয়ত না। ফলে নানা রাসায়নিক আমাদের চুলের ক্ষতি করে।
গবেষকরা বলছেন যে কোনো শক্তিশালী ক্লিনজার চুলের কিউটিকলের স্তরকে ক্ষয় করে চুলের ত্বককে শুষ্ক করে তোলে ও চুল ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সোডিয়াম লরিল সালফেট, অ্যামোনিয়াম লরাইল সালফেট যুক্ত শ্যাম্পু, অ্যানিমিক সালফেটযুক্ত শ্যাম্পুগুলো যেমন SLS, ALS চুলের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তার কারণে চুল তেলতেলে হয়ে যায়, চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।
কী করা উচিত তাহলে ?
শ্যাম্পু করার সময় সবচেয়ে ও সাধারণ যে ভুলটি করা হয়, তা হল আলতো ভাবে না করে, জোরে জোরে স্ক্যাল্পে চাপ প্রয়োগ করে নোংরা বা মাথার ময়লা দূর করা হয়। অথচ আমরা জানি না যে চুল ভেজালেই তা সংবেদশীল হয়ে যায় ৫ গুণ।
শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় মাথার ত্বকে বা স্ক্যাল্পে জোরে জোরে ঘষলে চুলের গোড়ায় প্রচুর ক্ষতি হয়। চুল থেকে ময়লা দূর করার জন্য জোরে ঘষা প্রাচীন পদ্ধতি হতে পারে, কিন্ত চুলের কিউটিকল তৈরির জন্য এটি একটি অন্যতম প্রধান কারণ। সঠিক পুষ্টি শোষণের জন্য এগুলো একবারেই অযোগ্য বলে প্রমানিত হয়েছে।
তাই চুল ধোওয়ার সময় বেশি করে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই শ্যাম্পু করার সময় সতর্ক থাকুন। এবং শ্যাম্পুর পর চুল ভালো করে ধুতে হবে। প্রয়োজনে একাধিকবার ধুয়ে নেবেন।
মাথার ত্বকের আদর্শ পিএইচ ৪.৫ থেকে ৫.৫ পরিসরের মধ্যে থাকা উচিত। যে কোনো পণ্যের অতিরিক্ত উপাদান অবশ্যই এড়িয়ে চলা ভালো। তাই জৈব ও ভেষজ উপাদানযুক্ত H+ আয়ন সমৃদ্ধ যা মাথার ত্বকে পিএইচ ভারসাম্যহীন করতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।