সংক্ষিপ্ত
প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর দিনটি পালিত হয় বিশ্ব পোলিও দিবস হিসেবে। পোলিও নির্মূল করতে বিশ্বের অগ্রগতিকে স্মরণ করতেই পালিত হয় দিনটি।
পালিত হচ্ছে বিশ্ব পোলিও দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে পোলিও টিকাদান ও পোলিও নির্মূল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর দিনটি পালিত হয় বিশ্ব পোলিও দিবস হিসেবে। পোলিও নির্মূল করতে বিশ্বের অগ্রগতিকে স্মরণ করতেই পালিত হয় দিনটি। দিবসটি পোলিও আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য কাজ করা এমন ফ্রান্টলাইন কর্মীদের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে।
প্রতি বছর বিশ্ব পোলিও দিবসের একটি নির্দিষ্ট থিম থাকে। এবছরের থিম হল মা ও শিশুদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যত গঠন। দিনটিতে শিশুদের মধ্যে পোলিও নির্মূলের যুদ্ধ ও মায়েদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যত প্রদানের কাজে অগ্রগতি স্বীকার করার জন্য বিশ্বকে আহ্বান জানায়। দিনটির লক্ষ্য হল মায়েদের একটি ইতিবাচক গর্ভাবস্থার অভিজ্ঞতা প্রদান করা যাতে একটি উজ্জ্বল ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের বিকাশে সহায়তা করা যায়।
ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, বিশ্ব পোলিও দিবস দিনটি ১৯৮৫ সালে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা জোনস সালকের জন্মের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি পোলিওর বিরুদ্ধে একটি টিকা তৈরিকারা দলের প্রধান চিকিৎসা গবেষক ছিলেন। তিনি পোলিও ভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করেন। প্রথম ১৯৫৫ সালে ব্যবহার করা হয়েছিল এই ভ্যাকসিন। ১৯৬১ সালে এটি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে পোলিও টিকা সারা বিশ্বে বিশেষ করে শিশুদের জ্য সুপারিশ করা হয়েছে। পাঁচ বরছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি থেকে যায়।
বিশ্ব পোলিও দিবসে, বিশ্বব্যাপী সংস্থা যেমন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, ডব্লিউইইচও এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো পোলিও সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। বিভিন্ন স্কুল ও ক্লাবে আয়োজিত হয় এই সকল অনুষ্ঠান। আজ সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে অনুষ্ঠান।
প্রয়শই পালিত হয় এমন বিশেষ বিশেষ দিন। কদিন আগেই পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস। প্রতি বছর ১৭ অক্টোবর দিনটি পালিত হয় এই বিশেষ দিন হিসেবে। বিশ্ব ব্যাপী দারিদ্র্য, হিংসা ও খিদে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ও সতর্কতা প্রচারে পালিত হয় দিনটি। তার আগে পালিত হয়েছে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল কাউন্ডেশন তার সাইট ফার্স্ট ক্যান্পেইনের মাধ্যমে ৪ অক্টোবর, ১৯৯৮ সালে প্রথম এই দিনটি পালন করেছিব। বিশ্বব্যাপী সকল মানুষের চোখের রোগের ঝুঁকি কমাতে ও চোখের যত্ন নিতে কিংবা চোখের যাবতীয় সার্জারি সম্পর্কে সচেতন করতে দিনটি পালন করে হয়।
আরও পড়ুন- কালীপুজোর দিন সোনায় সোহাগা, হু হু করে কমছে সোনার দাম ,রেকর্ড দরের চেয়ে অনেকটাই সস্তা রূপো
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে হজমের গোলযোগ সাধারণ বিষয়, সমস্যা সমাধান করুন সহজ উপায়
আরও পড়ুন- শীতকালে চুল আর ত্বকের সমস্যা থেকে বাঁচতে পাতে রাখুন ৫টি ড্রাই ফ্রুটস