সংক্ষিপ্ত
- একটানা অনেক্ষণ অফিসে বসে কাজ করতে হয় অনেককেই
- এর ফলে দেখা দেয় নানা সমস্য়া,যার কিছুটা চেনা,কিছুটা অচেনা
- শুধু পিঠে বা কোমরে ব্য়থাই নয়, মনমেজাজও খারাপ হয় এর ফলে
- কিছু নিয়ম মেনে চললেই অবশ্য় এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়
একটানা ঠায় অনেকক্ষণ বসে কাজ করতে হয় আমাদের অনেককেই। আর তার জন্য় যে পেশাগত রোগ বা সমস্য়া হয়, সে কথাও আমাদের পুরোপুরি অজানা নয়। তবে আমরা অনেকেই মনে করি, এর জন্য় বুঝি শুধুই কোমরে বা পিঠে একধরনের ব্য়থা হয়। আর কিছু নয়। কিন্তু বিষয়টা এত সহজ নয়। একটানা অনেকক্ষণ বসে কাজ করলে বেশ কিছু সমস্য়া দেখা যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই শুরু করা যাক চেনা সমস্য়া দিয়ে। যেমন মেরুদণ্ডের সমস্য়া। দীর্ঘক্ষণ যদি একই ভঙ্গিমাতে বসে থাকতে হয়, তাহলে মেরুদণ্ডের ডিস্কের ওপর চাপ পড়ে। দিনের-পর-দিন ক্রমাগত এই চাপ পড়তে-পড়তে জায়গাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সহজ কথায়, এর ফলে যা দেখা যায়, তা হল পিঠে ব্য়থা আর লো ব্য়াক পেন। কিন্তু এই সমস্য়া যে এড়ানো যায় না তা কিন্তু নয়। একটু সচেতন থাকলেই এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যেমন বসে কাজ করতে করতে মাঝেমধ্য়েই একটু চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানো বা অফিসের মধ্য়েই একটা পাক খেয়ে আসা, বেশ কাজে দেয়। আবার এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হয়, বসার ভঙ্গিমা কেমন হচ্ছে। কারণ, অনেক সময়েই আমরা এমন টেড়েবেঁকে বসি যে, তা আমাদের ব্য়থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একইভাবে বলা যায়, কম্পিউটারের সামনে লাগাতার কাজ করতে করতে ঘাড়ে ব্য়থা, কাঁধে ব্য়থায় কাবু হতে হয়। এরজন্য় কাজ করতে করতে চেয়ারে বসেই মাথাটা একটু পেছন দিকে হেলানো বা হাতদুটোকে একটু ঘোরানো, অনেক কাজে দেয়।
দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাক ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্তত ডাক্তাররা তাই মনে করেন। অনেক্ষণ পা ঝুলিয়ে চেয়ারে বসে কাজ করতে থাকলে পায়ে রক্ত চলাচল ব্য়হত হয়। যার ফলে পা ফুলে যেতে পারে। ব্য়ায়াম করলে বা হাঁটাচলা করলে আমাদের শরীর থেকে ফিলগুড হরমোন নিঃসরণ হয়। কিন্তু একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে, সেই হরমোন আর ক্ষরণ হয় না। হলেও সঠিক মাত্রায় হয় না। যার ফলে মন-মেজাজ খারাপ থাকে। এমনকি স্ট্রেসও বাড়তে পারে।
যাঁরা অফিসে বসে টানা কাজ করেন, তাঁদের তো এই সমস্য়া গুলো দেখা দিতেই পারে। আর যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন বা বাড়িতে থেকে কাজ করেন তাঁদেরও এই সমস্য়ার সম্মুখীন হতে হয়। তাই একটানা বসে থাকার সমস্য়া এড়াতে খানিকক্ষণ অন্তর অন্তর চেয়ার থেকে উঠে পড়ুন। মাঝেমধ্য়ে এক চক্কর হেঁটে আসুন। ঘাড়, গলা আর কাধকে একটু এ-পাশ ও-পাশ করে নিন। এটাও এক ধরনের ব্য়ায়াম। আর এতেই সমস্য়ার সমাধান না-হলে চিকিৎসকের কাছে যান।