এসএলই হল এক বিরল ধরনের রোগ এটি একটি অটোইমিউন ডিজিজ শরীরে বাসা বাঁধলে কেউ টের পায় না তাই এর উপসর্গগুলো জেনে নেওয়া ভাল
এসএলই রোগের পুরো নামটা হল সিস্টেমিক লুপাস এরিথ্রোমেটোসাস। এই রোগের সম্বন্ধে আমার জানাবোঝা অনেক কম। এই রোগ সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান না-থাকার জন্য় রোগটি শরীরে বাসা বাঁধলেও অনেকেই তা টের পান না। সাধারণত মহিলাদেরই এই রোগ বেশি হয়।
জটিল ইমিউন ডিসঅর্ডার ঘটিত অসুখই হল এসএলই।যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়, তা যখন অস্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছে যায়, তখনই কোনও অঙ্গের ক্ষতি হয়। কোনও নতুন পরিবেশ বা জিনগত কারণের জন্য় শরীরের জন্য় অটো অ্য়ান্টিবডি তৈরি হয়। আর এই অসুখ হওয়ার মূল কারণ এটি।
আল্ট্রাভায়োলেট রে ও মহিলাদের সেক্স হরমোন ইস্ট্রোজেন, এদুটিও এই রোগের অন্য়তম কারণ হতে পারে।টিবির ওষুধ, ফিটের ওষুধ থেকেও হতে পারে এসএলই। এই রোগকে ইমিউন ডিসঅর্ডার বলা হয়।কারণ, প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য় শরীর নিজের অ্য়ান্টিবডিকে চিনতে পারে না।ফলে তার বিরুদ্ধে শরীর অন্য়রকম অ্য়ান্টিবডি তৈরি করে ফেলে।সেই বিক্রিয়ার ফলে নানান ধরনের রোগবিসুখ জন্ম নেয় শরীরে।এই অসুখে নানা ধরনের শারীরিক উপসর্গ হয়।তার মধ্য়ে জ্বর, গাঁটে ব্য়থা, মাংসপেশীতে ব্য়াথা দেখা দেয়।সেইসঙ্গে গালে লালরঙের প্রজাপতি আকারের ব়্যাশ বেরোয়।
এর সঙ্গে মুখে ঘা বা চুল পড়ে যাওয়ার সমস্য়াও দেখা দিতে পারে।অনেক সময়ে হাতের তালু বা আঙুলে নানারকমের জালি-জালি এবং লাল দাগ দেখা যায়।এসএলইকে বলা হয় মালটি সিসটেম ডিজিজ।ফুসফুস হৃৎপিন্ড, বৃক্ক, চোখ, মস্তিষ্ক ও রক্তের নানা অসুখের মধ্য়ে দিয়ে এই রোগ দেখা দিতে পারে।
কাজেই গাঁটে ব্য়থা, জ্বর, মুখে ব়্যাশ থাকলে, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্য়ে, অবহেলা না-করে চিকিৎসার মধ্য়ে দিয়ে যেতে হবে।এই রোগ সম্বন্ধে সেরকম সচেতনাতা যেহেতু আমাদের নেই, কাজেই ফেলে রাখাটা বড় বেশি ঝুঁকির কাজ হয়ে যাবে।
