সংক্ষিপ্ত

  • অফিসের মানসিক চাপের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দায়ী সহকর্মীরা
  • অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে জন্ম নেয় মানসিক অবসাদ
  • যার ফলে অনেকেই কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের ব্যালান্স করে উঠতে পারে না
  • সম্প্রতি টেল আভিভ ইউনিভার্সিটি ৮২০ জন কর্মীর উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল

কর্মক্ষেত্রে সমস্ত চাপের জন্য আমরা সব সময়ই সিস্টেম বা অফিসের বস্-কেই প্রধান  দোষী বলে মনে করে থাকি। তবে জানেন কী! সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে অন্যরকম তথ্য। আর তাতে জানা গিয়েছে অফিসের মানসিক চাপের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দায়ি আপনার সহকর্মীরা। যাদের সঙ্গে দিনের একটা বড় সময় আপনি কাটান, সুখ-দুঃখের কথা শেয়ার করেন, সেই সহকর্মীই কিন্তু আপনার স্ট্রেস-এর জন্য অনেকাংশেই দায়ি।
কাজের প্রয়োজনে আমাদের অনেক সময় অফিসে নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি সময় কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে জন্ম নেয় মানসিক অবসাদ। যার ফলে অনেকেই একইসঙ্গে কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের ব্যালান্স সঠিক ভাবে করে উঠতে পারে না। এবার অপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, এক্ষেত্রে সহকর্মীর দোষটা কোথায়! এটা কীভাবে সম্ভব! সম্প্রতি
টেল আভিভ ইউনিভার্সিটি ৮২০ জন কর্মীর উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী কর্মীদের উপর করা হয়েছিল এই সমীক্ষাটি। কুড়ি বছর ধরে এই সমীক্ষা চালিয়েছে টেল আভিভ ইউনিভার্সিটি। আর এই সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্যটি।
এই সমীক্ষায় দেখা গেছে সহকর্মীদের জন্যই বেশিরভাগ সময় বাড়তি চাপ নিতে হয় কর্মীদের। তার মধ্যে ৪০ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন, অফিসের মানসিক চাপ অনেকটাই নির্ভর করে সহকর্মীদের উপর। তাঁদের ব্যবহার, তাঁদের কাজের ধরন সমস্তটাই প্রভাব ফেলে অফিসে থাকা বাকি কর্মীদের উপর। এবার এই তথ্য জানিয়ে দিন আপনার সহকর্মীদের। আর মনের আনন্দে কাজ করুন।