সংক্ষিপ্ত

  • তীব্র গতিতে চলা মানুষের ব্যস্ত জীবনকে ঘরবন্দি করে দিল
  • আজ সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই ঘর বন্দি
  •  সকলেই ভয়ে ভয়ে দিনযাপন করছে
  • করোনা আতঙ্ক যাতে তাড়াতাড়ি কেটে যায় সেই প্রার্থনাই করি

ঋত্বিক নন্দী-  শূন্যতার মধ্যে একাই যেন সাক্ষী হয়ে রয়েছি নিস্তব্ধতার। এ যেন এক অদ্ভুত দৃশ্য। সব যেন নিশ্চুপ ছন্দ হারা। আর তার কারণ করোনার মৃত্যুভয়। দেশ জুড়ে লকডাউন। মন্ত্রী মশাই বলেছেন চলবে আরও ২১ দিন। তাই কোয়ারেন্টাইন ছাড়া উপায় নেই। তাই নিয়ম মেনে বন্দীদশায় চলছে জীবন যাপন। তাই বলে কি কাজের অন্ত আছে? একদম নয়। উপরন্তু যেন বেড়ে গিয়েছে কাজ। 

আরও পড়ুন- কলেজ বন্ধেও নেই ছুটি, কলেজের আড্ডা থেকে ক্লাস সবটাই চলছে অনলাইনে

বর্তমান সময়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শব্দটি কারও কাছেই নতুন নয়। সেই নিয়ম মেনেই রোজ মোবাইল-ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়তে হচ্ছে ঠিক সকাল সাড়ে নটায়। চলছে  নিয়ম মেনে রাত ৮ টা অবধি। রেহাই একটাই অন্তত খাবার মিলছে সময় মতো। না না! বাইরে থেকে নয় ঘরেতেই হচ্ছে খাবারের বন্দোবস্ত। 

আরও পড়ুন- করোনার ভয়ে 'করুনার' দশা, নিজের লকডাউন কাহিনি জানালেন এই ছাত্রী

তার উপর আমি আবার স্টুডেন্ট! স্কুল কলেজ বন্ধ, তাতে কি হয়েছে? ক্লাস নোটস্ চলে আসছে সময় মতো। ডিজিটাল ইন্ডিয়া যে! পাশাপাশি রয়েছে আবার ভিডিও কলের মাধ্যমে অনলাইন কোচিং। বাড়ি থেকে এত দূরে, মন কেমন করে। বাইরে থেকে আসে হাতছানি, বেরোলেই জব্দ হব জানি। তাই এর চেয়ে ভালো অনলাইন স্ট্রিমিং এ ভিডিও দেখো। সবশেষে এটাই বলব কটা দিন সোশ্যালাইজেশন দূরে রাখো। তাহলেই বাঁচবে তুমি, বাঁচবো আমি, বাঁচবে গোটা বিশ্ব।

ঋত্বিক নন্দী-  এমবিএ স্টুডেন্টস অফ হেরিটেজ কলেজ, এইচডিএফসি ব্যঙ্কের কর্মী, কৃষ্ণনগর