সংক্ষিপ্ত
ওজন কমাতে হাজারো ডায়েটের পর এবার ফলো করছেন কেটো ডায়েট। কিন্তু জানেন কি এই ডায়েট কঠোর ভাবে মেনে চলতে চলতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে অনেকের। তারপর থেকেই এই কেটো ডায়েট নিয়ে সচেতন করছেন চিকিৎসকেরা। একটানা কেটো ডায়েটে কিডনির সমস্যাতেও ভুগতে পারেন আপনি, তাই ডায়েট করার আগে সাবধান না হলেই চরম বিপদ।
ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই অতিরিক্ত কড়া নিয়মের মধ্যে নিজেকে বেধে ফেলেছেন। যার কারণে চিকিৎসকরা এই কেটো ডায়েট নিয়ে সচেতন করছেন। ওজন কমাতে হাজারো ডায়েটের পর এবার ফলো করছেন কেটো ডায়েট। কিন্তু জানেন কি এই ডায়েট কঠোর ভাবে মেনে চলতে চলতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে অনেকের। তারপর থেকেই এই কেটো ডায়েট নিয়ে সচেতন করছেন চিকিৎসকেরা। একটানা কেটো ডায়েটে কিডনির সমস্যাতেও ভুগতে পারেন আপনি, তাই ডায়েট করার আগে সাবধান না হলেই চরম বিপদ।
দীর্ঘদিন ধরে একটানা ডায়েট মেনে চলতে গিয়ে অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া যা কিডনির উপরে চাপ দিচ্ছে। সেই কারণেই এই কেটো ডায়েট প্রতিদিন করতে বারণ করছেন ডাক্তাররা। চিকিৎসকদের মতে, একটানা ৬ মাসের বেশি এই কেটো ডায়েট মেনে চলা একদমই উচিত নয়। এবং মাঝেমধ্যেও এই ডায়েট থেকে বিরতি থাকা উচিত। এই ডায়েট যেমন শরীরে খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব ফেলে। এবং শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কার্বহাইড্রেটের থেকে এনার্জি বেশি কাজ করে। ফ্যাট জাতীয় ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কিডনির উপর বেশি চাপ পড়ে। যারা নিয়মিত এই কেটো ডায়েট মেনে চলেন তাদের মধ্যে লো-প্রেশারের সমস্যাও দেখা যায়। যার থেকে হৃদরোগও হতে পারে।কেটো ডায়েটের ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে কারণ এই ডায়েটে ফ্যাট ও প্রোটিনের মাত্রা বেশি খাতে। এই ডায়েট মেনে চললে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যও ক্ষতিকারক এই ডায়েট।
ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়ার অভ্যেস সবার আগে পরিবর্তন করতে হবে। প্রাথমিক কিছু নিয়ম থাকলেই ওজন থাকবে বশে। প্রথমত, কাঁটা চামচ ও চামচ দিয়ে খাওয়া যায় এমন খাওয়ার খেতে হবে। কারণ চামচ দিয়ে খাবার খেলে খাবারের পরিমাণ কম ওঠে। যার ফলে খাবারও কম খাওয়া হয়।রাতের বেলা খাবার খাওয়ার আগে বেশি পরিমাণে জল খান। তাতে খেতে বসার পর অনেকটা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে। খাবারের শেষ পাতে ডেজার্ট খাওয়ার ইচ্ছেই রাশ টানুন। সপ্তাহে একদিনের জন্য বজায় রাখুন সেই শখ। ডেজার্ট শরীরের জন্য কতটা ক্ষতি করে তা সবারই জানা। তাই যারা শেষপাতে মিষ্টি খান সেটা সবার আগে বন্ধ করে দিন। অনেকক্ষণ খিদে চেপে রাখলেই খাওয়ার সময় বেশি খিদে পেয়ে যায়। তাই খিদে না চেপে কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খান। তবে যখনই পাবেন পেটে খিদে রেখে খান। খাবার কম খেতে হবে বলে খাবার খাবেন না এটা ভুল করেও করবেন না। বরং খালি পেটে থাকলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। কাজেই খেতে যেমন হবে তার পাশাপাশি নিয়ম করে শরীরচর্চাও করতে হবে। শুধু খেলেই হল না খাওয়ারের পাশাপাশি শরীরচর্চা কিন্তু মাস্ট। তাই খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চাও করতে হবে নিয়ম করে।