সংক্ষিপ্ত
স্বাদে গন্ধে ইলিশ মাছকেও টেক্কা দিতে পারে বোরোলি মাছ। ইলিশ মাছকে যে সরাসরি এমনভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে তাকে উত্তরের ইলিশও বলা হয়।
এই বর্ষায় ইলিশ (Hilsa Fish) খেয়েছেন নাকি, প্রশ্ন করলেই ভুরু কুঁচকে তাকাচ্ছেন মানুষ। হবে নাই কেন। বাজারে যে দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে কিডনি বেচে দেওয়ার জোগাড়। কোথাও ১৮০০ টাকা কিলো, কোথাও দুহাজার টাকা কিলো বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। যোগানও নেই সেরকম। যারা কষ্ট করে শখ করে কিনছেন, সেভাবে খেয়ে আনন্দ পাচ্ছেন না। কারণ স্বাদ নেই বললেই চলে।
এই পরিস্থিতিতে যাঁরা হা হুতাশ করছেন, তাঁদের জন্য ভালো উপায় রয়েছে। স্বাদে গন্ধে ইলিশ মাছকেও টেক্কা দিতে পারে বোরোলি মাছ(Boroli Fish)। ইলিশ মাছকে যে সরাসরি এমনভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে তাকে উত্তরের ইলিশও বলা হয়।
যে মধ্যবিত্ত বাঙালির পাতে ইলিশ ওঠে না, সে বাঙালি হাত চেটে খাবেন এই মাছ, গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু থেকে শুরু করে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত বোরোলি মাছের ভক্ত।
এই মাছের স্বাদ এবং গন্ধে রীতিমত মুগ্ধ মৎস্য প্রেমীরা। যদিও, এর আকার ইলিশের সমতুল্য নয়, আকারে বড়জোর ৫ থেকে ৬ ইঞ্চির বেশি হয় না এই মাছ। তবে দামও বেশ সস্তা এই মাছের। মৎস্যজীবীদের দাবি, বোরোলি মাছ অত্যন্ত সুখী মাছ। যে জলে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে এই মাছ সেই জলেই থাকে।
ইলিশের মতোই নদীর স্রোতের বিপরীতে ঝাঁক বেঁধে চলে বোরোলি। প্রধানত বর্ষার আগেই এপ্রিল-মে মাসে অথবা বর্ষার পরে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এই মাছের দেখা মেলে। প্রধানত তিস্তার জলে বোরোলি মিললেও তোর্সা, করলা, রায়ডাক, বালাসন, কালজানিতেও এই মাছ মেলে।
ভারতে রয়েছে পাকিস্তান নামের একটি গ্রাম, বাসিন্দারা সবাই হিন্দু, জানতেন কি
সারা দেশের রুপি, অথচ বাংলায় ভারতীয় মুদ্রার নাম টাকা, জানেন কেন এই নামকরণ
তবে তিস্তার জলের বোরোলি স্বাদে গন্ধে সবার সেরা বলে মানেন মৎস্য প্রেমীরা। খরস্রোতা নদীতে বোরোলি মাছ বেশি পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াতে নদীর জলের বোরোলি মাছের যোগান কমছে।