সংক্ষিপ্ত

সারাটা দিন কাটে কাজ করেই। এভাবে দিন কাটলে কাজের গুণগত মান কমে যাওয়া স্বাভাবিক। এর থেকে আসে একঘেঁয়েমি। আজ রইল কয়টি টিপস। আপনার অভ্যেসের (Habits) বদল আনলে বাড়তে পারে গুণগত মান। জেনে নিন কী কী করবেন।   

দীর্ঘদিন ধরে চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home)। ডেইলি (Daily) রুটিন বলতে ঘুম থেকে উঠে ল্যাপটপ অন করা। ব্রেকের সময় স্নান ও খাওয়া মিটিয়ে ফের কাজে বসে যাওয়া। রাতে ঘুমাতে যাওয়া। সারাটা দিন কাটে এমন কাজ করেই। এভাবে দিন কাটলে কাজের গুণগত মান কমে যাওয়া স্বাভাবিক। এর থেকে আসে একঘেঁয়েমি। আজ রইল কয়টি টিপস। আপনার অভ্যেসের (Habits) বদল আনলে বাড়তে পারে গুণগত মান। জেনে নিন কী কী করবেন।   

কাজের ফাঁকে হাঁটুন। রোজকার ৯ ঘন্টা শিফট। কাজ শেষ করতে ১০ ঘন্টা পার করে যায়। এক টানা বসে কাজ করবেন না। এতে একঘেঁয়েমি আসবে। সঙ্গে কাজের মান কমবে। বার বারে উঠে হাঁটুন। অফিসে (Office) কিন্তু কাজের ফাঁকে বার বার ওঠা হয়। সেই অভ্যেস বজায় রাখলে আপনারই উপকার। এতে শারীরিক ভাবেও সুস্থ থাকবেন। 

শিফটের বাইরে কাজ নয়। এই কথা সব সময় মাথায় রাখুন। অফিসের শিফট যখন শুরু হচ্ছে তখন ল্যাপটপ (Laptop) অন করুন। বারে বারে মেল চেক করা বন্ধ করুন। সারাক্ষণ অফিস আর কাজের চিন্তা করবেন না। এর থেকে স্ট্রেস (Stress) দেখা দেয়। যা কাজের ওপর প্রভাব ফেলে।  

দিনের শুরুতে প্ল্যান (Plan) করে নিন। শিফট শুরু হওয়ার পর কী কী কাজ করবেন, কোন কাজের জন্য কত সময় বরাদ্দ করবেন তা ঠিক করে রাখুন। আগে থেকে প্ল্যান করে নিলে কাজের সময় কম লাগে। তাই সবার আগে প্ল্যান করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন। আর সেই মতো সারাদিনের কাজ করুন। 

কাজ এগিয়ে রাখার অভ্যেস বদল করুন। এমন অনেকে আছেন, যারা শিফট শেষে পরের দিনের কাজ এগিয়ে রাখে। এতে পরিশ্রম শুধু বেশি হয় এমন নয়, সঙ্গে কাজের গুণগত মান হ্রাস পায়। সারাট দিন যদি কাজ করে যান, তাহলে তার প্রতি একঘেঁয়েমি আসবেই। এর থেকে কাজের মান কম হওয়া স্বাভাবিক। তাই দিনের যতটা কাজ ততটাই করুন। এর বেশি করার প্রয়োজন নেই। এতে আপনারই ক্ষতি। 

আরও পড়ুন: ভিডিও কলে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় এই কয়টি কাজ ভুলেও করবেন না, এই ভুলে খোয়াতে পারেন চাকরি

আরও পড়ুন: কমছে গুণগত মান সঙ্গে উদ্যোগ হারাচ্ছেন কাজে, জেনে নিন কী কী কারণে একঘেঁয়েমি দেখা দেয়

বাড়ি আছেন বলে সারাটা দিন ধরে ধীরে ধীরে কাজ করবেন, এমন মানসিকতার বদল করুন। শিফটের (Shift) সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। সারাদিন কাজ করার মানসিকতা যাদের তাদের কাজের গুণগত মান কম হওয়া স্বাভাবিক।