সংক্ষিপ্ত
সম্পর্কে রাতারাতি দূরত্ব নিয়ে চিন্তা নয়
সহজ কৌশলে টিকিয়ে রাখুন প্রেম
একাকিত্ববোধ কাটিয়ে পজিটিভ থাকুন
নতুন করে পরিকল্পনা করুন
সম্পর্কে লং ডিসট্যান্স! অভ্যাস ছিল এক হচ্ছে আরেক। প্রতিদিন দেখা, ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া, শপিং-হপিং প্রেমের তালিকা থেকে বাদ পড়ত না কিছুই। এমনই অবস্থায় রাতারাতি বদলি। ফলে সম্পর্কের সমীকরণকে আরও একবার সাজিয়ে নেওয়া নতুন করে। কিভাবে শুরুটা হবে। রোজকার রুটিন মাফিক প্রেমের পরিণতিই বা কী হবে! ওখানে গিয়ে অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে না তো প্রেমিক বা প্রেমিকা। এমনই নানা প্রশ্ন থেকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই সমস্যাগুলো এড়িয়ে কীভাবে সম্ভব সম্পর্ক আরও বেশি মজবুত করা, মাথায় রাখুন কয়েকটি টিপসঃ
প্রাক্তনকে কি ভুলতে পেরেছেন! এই ৭টি কাজ করতে পারলেই বুঝতে পারবেন
১) কখনওই বুঝিয়ে দেওয়া উচিত নয়, যে আপনি সম্পর্কটাকে নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছেন বা তাঁকে সন্দেহ করছেন। বিশ্বাস রাখুন একে অন্যের প্রতি।
২) আগের থেকে আরেকটু বেশি যত্নশীল হয়ে উঠুন। কাজের ফাঁকে বার বার ফোন করা নয়। তবে মাঝে মধ্যে তাঁর খেয়াল রাখার জন্য ফোন করাটা প্রয়োজন।
৩) একা বোধ যাতে না করে, সেই দিকে নজর দিন। স্বাভাবিকভাবেই কথা বলুন। মানসিকভাবে যেন সম্পর্কটা একই আছে সেই বিশ্বাস বা ভরসা জাগিয়ে তুলুন।
৪) ফোন না ধরা, বা এড়িয়ে যাওয়া, এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। ফোন করলে ফোন না ধরতে পারে কাজ মিটিয়েই ফোন করে নিন। বা কাজে যাওয়ার আগে জানিয়ে দিন যে আপনি ব্যাস্ত থাকবেন।
৫) আসে পাশে থাকা বন্ধু বান্ধবদের আপনার সম্পর্কের কথা জানিয়ে দিন। যাতে সকলেই আপনার সম্পর্কের কথা জানতে পারে। এতে পাটনারের অনেকটা স্বস্তি বোধ হয়।
৬) মাঝে মধ্যে অনলাইলেন ছোট খাটো উপহার পাঠান একে অন্যের জন্য। এতে ভালো লাগা ও ভালোবাসা অনেকখানি বাড়ে।
৭) দিনের শেষে সব কথা একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করুন। বন্ধুদের সঙ্গে কনফারেন্স কলে আড্ডা দিন। তাতে একাকিত্ব বোধ হবে না বা আপনি কাছে নেই, এমন অনুভুতিও হবে না।
৮) পজিটিভ থাকুন। কথায় কথায় কেন এই দুরত্ব তা বুঝিয়ে না দিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন। কবে ফিরছে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা, সেদিন কী কী ভাবে দিনটা কাটানো যায় তার পরিকল্পনা করুন। দেখবেন সম্পর্ক যতটা সহজ ছিল তার থেকেও বেশি ভরসা যোগ্য ও মজবুত হয়ে গিয়েছে।