সংক্ষিপ্ত
- টনসিলের প্রদাহকে আমরা বলি টনসিলাইটিস
- ঠান্ডা লাগলে বা জীবাণু সংক্রমণে এই সমস্য়া দেখা দেয়
- শীতকালে সাবধানে থাকতে হবে, ঠান্ডা যাতে না-লাগে
- ব্য়থা হলে দিনে দশ থেকে বারোবার ঈষদষ্ণু গরম জলে গার্গেল করুন
যদিও টনসিল আমাদের প্রত্য়েকের শরীরের একটি অবিচ্ছেদ্য় অঙ্গ, তবু আমরা কিছু হলেই বলি, টনসিল হয়েছে। আসলেএই টনসিল যখন ভোগায়, এর প্রদাহ দেখা দেয়, তখন একে টনসিলাইটিস বলা হয়। যদিও চালু কথায় টনসিল হয়েছে বললেযও মহাভারত অশুদ্ধ হয় না। এখন কথা হল, এই মরসুমে টনসিল ভোগাতেই পারে। তৈরি থাকুন আপনি। মনে রাখবেন, ঠান্ডা লাগলে টনসিলাইটিস হয়ে থাকে। আবার ভাইরাসের আক্রমণেও হয়। এর লক্ষণ কাউরই অপরিচিত নয়। গলা ব্য়থা, জ্বর, শর্দিকাশি, খাবার গিলতে অসুবিধে হওয়া, গলা ফুলে যাওয়া। হাঁ করলে দেখা যায়, গলার ভেতর লাল হয়ে ফুলে রয়েছে বলের মতো কিছু জিনিস। খেতে অরুচি হয় অনেকসময়ে। এর থেকে আবার শ্বাসকষ্ট হতে পারে, ঘুমের ব্য়াঘাতও হতে পারে। অনেক সময়ে মাথা যন্ত্রণার নেপথ্য়ে থাকে এই টনসিল।
এর ঘরোয়া কিছু সমাধান রয়েছে। যেমন ঈষদষ্ণু গরম জলে এক চিমটে নুন মিশিয়ে দিনে দশ-বারোবার গার্গেল করুন। এই গার্গেল খুব কাজে দেয়। চাইলে, এককাপ জলে একটু আদাকুঁচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন, তারপর তা খেয়ে নিন। দেখবেন বেশ রিলিফ পাবেন। চাইলে ঈষদষ্ণু গরমজলে মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে এক চিমটে নুন দিন। তারপর খেয়ে নিন। অ্য়ান্টিসেপটিকের মতো কাজ করবে। বলা হয়, গ্রিন-টি আর মধু ভাল করে ফুটিয়ে তা খেয়ে নিলেও নাকি তা বেশ কাজে দেয় টনসিলে।
তবে আপনাকেও একটু সতর্ক থাকতে হবে। শীতকালে যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাঁদের টনসিলের ধাত আছে, তাঁরা যেন শীতগ্রীষ্ম নির্বিশেষে ফ্রিজের জল, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলেন। বলা হয়, খাওয়ার পর ঠিকমতো কুলকুচো করলে আর প্রতিদিন নিয়ম করে গার্গেল করলে টনসিলাইটিসের সমস্য়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এমনকি, প্রতিদিন মিনিট কুড়ি প্রাণায়ম খুব উপকারী টনসিলের ক্ষেত্রে।