সংক্ষিপ্ত
- সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হয় এই সময়ে
- এই সব সমস্যা মরসুম বদলের আগে খুব স্বাভাবিক বিষয়
- আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরের খাপ খাওয়াতে বেশ কিছুটা সময় লাগে
- এমন সংক্রমণ ঠেকাতে মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া উপায়
করোনা আতঙ্কে লকডাউন সারা দেশ কাঁপছে রাজ্য। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা থেকে বাঁচতে তাই সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। তবে বছরের এই সময়টায় ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হয়। হাঁচি, কাশি জ্বর জ্বর ভাব সেই সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, চোখ-নাক দিয়ে জল পড়া। এই সব সমস্যা মরসুম বদলের আগে খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাই জ্বর হলেই আতঙ্কিত হবেন না। অসুখ করলে ওষুধ প্রয়োজনীয় বটেই, কিন্তু অসুখ হওয়ার আগেই তার ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। তাই ঘরে থেকেই এই সমস্যা দূর করতে মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া উপায়।
আদা, লেবু ও মধু- আদা যে সর্দি-কাশির মত অসুখে কাজে আসে, তা অনেকেরই জানা। লেবু ও মধু দুই-ই প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এক কাপ জলে আদা কুচি ফেলে তা ফুটিয়ে নিন। এতে যোগ করুন লেবুর রস ও মধু। আদায় থাকা জিঞ্জারল, জিঞ্জারন প্রভৃতি উপাদান অ্যান্টিইনফ্লেমটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। নিয়ম করে খালি পেটে এই পানীয় খেলে অসুখের হাত থেকে তো বাঁচবেনই, এ ছাড়া শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর।
দারুচিনি-জল- গরম জলে কয়েক টুকরো দারুচিনি ফেলে তা ফুটিয়ে পান করুন প্রতি দিন। শ্লেষ্মাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে এই পানীয়। দারুচিনি যে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই ব্যবহার করা হয় এমনটা নয়। ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার। অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস এই দারুচিনি। সাইনাস ও মাইগ্রেনের সমস্যাও কমিয়ে আরাম দেয় এই পানীয়।
গোলমরিচ চা- চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এই গোল মরিচ। প্রতিদিন মরিচ চা খেলে শীতে সুস্থ থাকবে শরীর। ভাল ফল পেতে এতে কিছুটা মধু মেশাতে পারেন। পিপারিন থাকায় গোল মরিচ শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই-ই নয়, গোল মরিচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। গলা বসে যাওয়া, নাক বন্ধ ইত্যাদি সমস্যা থেকে আরাম যেমন দেয়, তেমনই ঠান্ডায় গলা ব্যথা, সর্দি কাশির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতারও জোগান দেয় এই গোল মরিচ।