- Home
- Lifestyle
- Travel
- Dhanushkodi Travel: ভারতের শেষ রাস্তা দেখেছেন? জানুন কীভাবে যাবেন দেশের শেষ গ্রামে
Dhanushkodi Travel: ভারতের শেষ রাস্তা দেখেছেন? জানুন কীভাবে যাবেন দেশের শেষ গ্রামে
কথায় বলে- অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনার কোনও শেষ নেই। কিন্তু আপনি কী জানেন আমাদের দেশ ভারতেও আছে শেষ রাস্তা। যে রাস্তার শেষে শুরু হয়েছে অন্য দেশের প্রবেশদ্বার। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। ভারতের শেষ রাস্তার নাম হল, ধনুশকোডি। আর এটি কোথায় অবস্থিত সেই সম্পর্কে জান
- FB
- TW
- Linkdin
)
ধনুশকোডি (Dhanushkodi)
ভারতের শেষ রাস্তার নাম হল, ধনুশকোডি। এটি তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে অবস্থিত একটি রহস্যময় ছোটো শহর। এই স্থানটিকে দেশের শেষপ্রান্তও (দক্ষিণ ভারতের) বলা হয়। আর সেই শহরের ধার ঘেঁষে যে রাস্তাটি চলে গিয়েছে সেটি হল আমাদের দেশের শেষ রাস্তা।
ধনুশকোডি (Dhanushkodi) যাবেন কীভাবে?
তামিলনাড়ু রাজ্যের পাম্বন দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত শহর হল ধনুশকোডি। পাম্বনের দক্ষিণ-পূর্বে এবং শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এই রহস্যময় শহর। রহস্যে ঘেরা এই শহরে পৌঁছোনো বেশ কঠিন।
দক্ষিণ ভারতের এই গ্রাম কেন এত বিখ্যাত?
ধনুশকোডি শহরের মূল ভূখণ্ডে যেতে গেলে পাম্বন বা রামেশ্বরম দ্বীপ অতিক্রম করতে হয়। পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার। ধনুশকোডি মূলত জেলেদের বাসস্থান। দক্ষিণী নকশার ছোটো ছোটো বাড়িতে বাস করেন জেলে ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। ধনুশকোডি হল ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যবর্তী একমাত্র সীমান্ত যেটি কিনা পক প্রণালীর বালিয়াড়ির উপর অবস্থান করে।
ধনুশকোডি থেকে শ্রীলঙ্কার দূরত্ন কত?
এখান থেকে শ্রীলঙ্কাকে স্পষ্ট দেখা যায়। ধনুশকোডি হল ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে একমাত্র স্থল সীমানা, যা কিনা পাক প্রণালীর বালির টিলায় অবস্থিত। স্থলভাগে এটি মাত্র ৫০ গজ প্রসারিত। সেই কারণে এই স্থানকে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্থান বলা হয়।
তামিলনাড়ুর অন্যতম সেরা পর্যটনকেন্দ্র ধনুশকোডি
তামিলনাড়ুর অন্যতম সেরা পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম ধনুশকোডি। এই জায়গার বেশিরভাগ অংশ আজও নির্জন। জানলে অবাক হবেন যে, এই স্থানে আগে বাড়িঘর, হাসপাতাল, হোটেল-ডাক অফিস সবই ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় সবকিছু ধ্বংস করে দেয়।
ভারতের শেষ নির্জন গ্রাম
১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে, রামেশ্বরমের এই শহরে এক প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়। এবং এই কারণে ধনুশকোডি শহরটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারান প্রায় ১,৮০০ জন। ১০০ জন বিশিষ্ট যাত্রীবাহী একটি ট্রেন ডুবে যায়। এরপর থেকেই এই শহরকে মানুষের বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করে সরকার।
ভারতের শেষ রাস্তা
ধনুশকোডি ভারতের শেষ ভূমি হিসেবে পরিচিত। এবং এখানকার একটি নির্দিষ্ট পথকে বলা হয় ভারতের শেষ পথ। এই রাস্তা থেকে শ্রীলঙ্কা দূরত্ব মাত্র ৩১ কিলোমিটার। তাই এখান থেকে শ্রীলঙ্কাকে স্পষ্ট দেখা যায়।
পর্যটনের সেরা জায়গা ধনুশকোডি
১৯৬৪ সালের মর্মান্তিক ঘটনার প্রায় তিপ্পান্ন বছর পর ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে পায় শহর। মৃত শহর ভ্রমণের জন্য পর্যটক আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ধনুশকোডি শহর যেন সর্বদা নির্মল, দূষণের কোনও বালাই নেই এখানে। এখানে সমুদ্র এবং আকাশের মিলনস্থলের অপার সৌন্দর্য্য সবসময় বিরাজ করছে।
পর্যটক টানছে ঐতিহাসিক ধনুশকোডি
এখানকার সাদা বালিতে ঢাকা উপকূল অঞ্চলের সৌন্দর্য্যও যেন অনন্য। উপকূলে শহরের ধ্বংসাবশেষ পর্যটকদের ভয়ানক আকর্ষণ করে। তবে এই অঞ্চলে সবচেয়ে রোমহর্ষক বিষয় হল, এখানে সমুদ্রের উপর দিয়েই বাস চলে। আর অভিনব এই দৃশ্যের সাক্ষী হতে অনেকেই আজকাল ধনুশকোডিতে গিয়ে হাজির হন।
রাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ধনুশকোডিতে
এই দ্বীপে বর্তমানে প্রায় ৫০০ জন মৎস্যজীবী বসবাস করেন। ফলে শহরজুড়ে ৫০টিরও বেশি কুঁড়েঘর রয়েছে। পরিত্যক্ত হওয়ার পর থেকে ধনুশকোডিকে ভৌতিক শহরও বলা হয়। দিনের বেলায় এখানে তাও লোকজনকে আসতে দেওয়া হয়। রাতের বেলা এখান প্রবেশ নিষেধ সবার জন্য।।