Travel Tips: হাতে দু-দিন সময় থাকলে কাছেপিঠে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকের কাছেই পছন্দের ডেসটিনেশন হয়ে উঠেছে সুন্দরী পুরুলিয়া। এই জেলার প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভাল করে দেয় পর্যটকদের। পুরুলিয়ার অফবিট পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম নরাহারা ড্যাম।
Travel Tips: পুরুলিয়ার ঝালদা অঞ্চলের নরাহারা ড্যাম একটি দারুণ অফবিট পর্যটন কেন্দ্র, বিশেষ করে যেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর দেখা যায় – এটি ময়ূর পর্যবেক্ষণের জন্য আদর্শ স্থান, যেখানে প্রকৃতির নির্মল সৌন্দর্য, শান্ত পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে বর্ণিল ময়ূরের অবাধ বিচরণ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কীভাবে যাবেন?
* নরাহারা ড্যাম ও ঝালদা: ময়ূর দেখার ঠিকানা:
** অফবিট গন্তব্য: নরাহারা ড্যাম পুরুলিয়ার কোলাহল থেকে দূরে এক শান্ত ও নিরিবিলি জায়গা, যা নতুন ভ্রমণকারীদের জন্য চমৎকার।
** ময়ূরের অভয়ারণ্য: এই এলাকাটি মূলত ময়ূরের জন্য বিখ্যাত। সকালে বা সন্ধ্যায় ড্যামের আশেপাশে এবং সংলগ্ন বনভূমিতে প্রচুর ময়ূর দেখা যায়। পেখম মেলা ময়ূর দেখার অভিজ্ঞতা এখানে অসাধারণ।
** প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: ড্যামের শান্ত জলরাশি, চারপাশের সবুজ বনানী এবং পাহাড়ী দৃশ্য এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করে, যা ফটোগ্রাফি ও প্রকৃতির সান্নিধ্যের জন্য দারুণ।
** কীভাবে যাবেন:
নিকটতম শহর: ঝালদা, যা পুরুলিয়া শহর থেকে প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
রাস্তা: কলকাতা বা রাঁচি থেকে সড়কপথে ঝালদা পৌঁছানো যায়। ঝালদা থেকে স্থানীয় পরিবহন বা ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে নরাহারা ড্যাম যাওয়া যায়।
** কী দেখবেন ও করবেন:
ময়ূর দর্শন: সকালের আলোয় বা সূর্যাস্তের আগে ময়ূরদের বিচরণ দেখুন।
পাখি পর্যবেক্ষণ: ময়ূর ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় পাখির দেখা মেলে এখানে।
প্রকৃতির মাঝে হাঁটা: ড্যামের চারপাশের পরিবেশে হেঁটে বেড়ানো।
ফটোগ্রাফি: মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও ময়ূরের ছবি তোলার সুযোগ।
** যাওয়ার সঠিক সময়কাল:
শীতকাল (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি): আবহাওয়া মনোরম থাকে, ময়ূরদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বর্ষার পর (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর): চারপাশ সবুজে ভরে ওঠে।
** বিশেষ টিপস (Tips)
ধীরেসুস্থে ভ্রমণ: তাড়াহুড়ো না করে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করুন।
স্থানীয়দের সম্মান: স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন।
পরিবেশ সচেতনতা: কোনো রকম আবর্জনা ফেলবেন না, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন।
নরাহারা ড্যাম ও ঝালদা অঞ্চলটি বর্তমানে পরিচিতি পাওয়ায়, এটি পুরুলিয়ার একটি অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক ও বন্যপ্রাণী-কেন্দ্রিক পর্যটন স্পট হয়ে উঠেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


