Sundarban Travel: পুজোর সময় সুন্দরবন বেড়াতে যেতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনাদের নিতে হবে অনুমতি পত্র। বেড়াতে যাওয়ার আগে রাজ্য পর্যটন দফতরের নিয়ম জেনে নিন।
KNOW
West Bengal Tourism: মরসুম ছাড়াও সারা বছরে চলতে থাকে পর্যটকদের ঢল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে সুন্দরবনের জঙ্গলে প্রবেশের জন্য। ফলে নির্দিষ্ট দিনে অনুমতি না পেয়ে জঙ্গল সাফারি বন্ধ রাখতে হয় বহু পর্যটকদেরকে। এবার তাই অনুমতি পত্রের কালোবাজারি রুখতে এবং পর্যটকদের জঙ্গলে ঘোরাতে ব্যাঘ্র প্রকল্পের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ ব্যবস্থা। আগে থেকে কোনওভাবেই পর্যটকশূন্য জলযানকে অনুমতি পত্র দেওয়া যাবে না। অনুমতি পত্র নিতে হলে বিভিন্ন লঞ্চ এবং বোট মালিকদের নির্দিষ্ট ওটিপি মারফত তা কার্যকরী করতে হবে। এর ফলে একদিকে যেমন সঠিক ভ্রমণার্থীরা জঙ্গল ঘুরতে পারবেন তেমনই বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীরা যারা অনলাইনের মাধ্যমে সুন্দরবনের পারমিশন করছিল এবং অতিরিক্ত পাস বিক্রি করছিল তাদের কালোবাজারি বন্ধ হবে। প্রতিনিয়ত বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী একইসঙ্গে ১০ থেকে ১২টি করে জলযানের জন্য অনুমতির ব্যবস্থা করে দিত। এবার সেই অসাধু কার্যকলাপ বন্ধ হতে চলেছে।
কী ব্যবস্থা বন দফতরের?
বন দফতরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগে থেকে অনুপতি পত্র পাশ করাতে গেলে পর্যটকদের নামের তালিকা ও যথাযথ পরিচয়পত্র জমা করতে হবে। জঙ্গলে ঢোকার আগে সেই অনুমতি পত্র নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে দেখাতেও হবে। অনলাইনে অনুমতির সময় পর্যটকদের যে পরিচয়পত্র আপলোড করা হয়েছিল, সেগুলিও যাচাই হবে। সব ঠিক থাকলে তবেই জঙ্গলে ঢোকার অনুমতি মিলবে।
কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি
বন দফতর জানিয়েছে, অসৎ উপায় নিলে লঞ্চ মালিকরা শাস্তির মুখে পড়তেও পারেন। একাধিকবার অভিযোগ সামনে এলে সুন্দরবনে লঞ্চ ঢোকার অনুমতি একমাসের জন্য বন্ধ রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে। “সমস্ত অনুমতি অনলাইনে হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় অনুমতি না পাওয়ার অভিযোগ আসছিল। নির্দিষ্ট কিছু ট্যুরিস্ট অপারেটর এবং সাইবার ক্যাফের বিরুদ্ধেই সেই অভিযোগ ছিল। এবার সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন সুন্দরবনে ঘুরতে আসা সমস্ত পর্যটকরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


