দক্ষিণবঙ্গেই এক টুকরো সিটং রয়েছে যেখানে আপনি অনেক কমলালেবুর গাছ দেখতে পারবেন এবং তা পেরে খেতে পারবেন? হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। দক্ষিণবঙ্গেও এখন কমলালেবুর চাষ।
শীত পড়লেই দার্জিলিং- এর পার্বত্য অঞ্চল রঙিন হয়ে ওঠে কমলালেবু দিয়ে। দার্জিলিং এর সিটং খুবই জনপ্রিয় কমলালেবুর জন্য। তবে এখন উত্তরবঙ্গ ছাড়িয়ে দক্ষিণবঙ্গেও করা হচ্ছে কমলা চাষ। পুরো গাছ জুড়েই পাতার পরিবর্তে দেখা মিলছে কমলালেবুর।
শীতকাল মানেই পিকনিকের মরশুম। আর এই মরশুমে পিকনিক করতে যাওয়া মানুষেরা কমলালেবু খেতে খেতে খুশ মেজাজে আড্ডা দেন। কমলালেবু আসলে পাহাড়ি এলাকায় বেশি ভালো উৎপন্ন হয়।
কিন্তু এবার গোটা রাজ্যকে অবাক করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর। অশোকনগরের বাসিন্দা নারায়ণ মণ্ডল দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ফলাচ্ছেন কমলালেবু। গত ২-৩ বছরের মধ্যে ভাইরাল হওয়া নায়ারণ মণ্ডলের বাগানে, পর্যটকদের আগে টিকিট কাটতে না হলেও, চলতি বছর প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
এই সুধীর নার্সারিতেই আপনি ঢুকলে মনে হবে যেন এক টুকরো সিটং এখানে বিরাজ করছে। এই বাগানে কি নেই। মাথাপিছু ১০ টাকা খরচ করে কিন্তু আপনাকে এই সুধীর নার্সারিতে ঢুকতে হবে। নতুন বছর পড়তে হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ অবধি এই বাগান খোলা থাকবে। খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। তাহলে আর দেরি না করে এই শীতে আপনিও একদিনের ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানের আওতায় এই জায়গায় আসতে পারেন।
রয়েছে মারণ রোগ ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করা কোরোসল গাছও। একই সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় জাম গাছও। পর্যটকরা নারায়ণ মণ্ডলের বাগান দেখতে গেলে তিনি নিজেই ট্রাভেল গাইড এর মতো বুঝিয়ে দেন সবকিছু।

