সংক্ষিপ্ত
- ওয়ার্ক ফ্রম হোমে বাড়ছে কাজের চাপ
- সারা শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা
- হাতের পেশিতে লাগতে পারে টান
- হতে পারে মাসল ক্র্যাম্পও
লকডাউনে টানা বাড়িতে বসে কাজ। একবার কাজে বসলে অফিসের দয়ায় ১০-১১ ঘন্টার আগে ওঠা যায় না। ফল, সারা শরীর নানা জায়গায় ব্যথা, বিশেষত ভোগাতে শুরু করে ঘাড়, কোমর, পিঠের ব্যাথা। কিন্তু জানেন কী, অজান্তেই শরীরের আরও একটি অংশের চরম ক্ষতি ডেকে আনছেন আপনি। তা হল হাত।
কম রক্ত সঞ্চালন
একটানা টাইপ করার ফলে বা মাউস ব্যবহারের ফলে হাতের বেশ ক্ষতি হচ্ছে, তা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একটানা কাজ করার ফলে রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা থেকে ব্যথা শুরু হতে পারে হাতে। কারণ আঙুলে এতে রক্ত সঞ্চালন কম হয়। ব্যথা শুরু হতে পারে এর ফলে।
কবজিতে ব্যথা
একটানা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে কাজ করে টান ধরতে পারে কবজিতে। কারণ হাতে সমানে চাপ পড়ায় তা পেশিগুলিতে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। এতে পেশিতে টান অনুভব করতে পারেন, অথবা শুরু হতে পারে মাসল ক্র্যাম্প।
আঙুলের ডগায় ব্যথা
১০ থেকে ১১ ঘন্টা কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি আমরা সকলেই। সৌজন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম। কিন্তু একাটানা টাইপ করতে বা লিখতে গিয়ে আঙুলের অবস্থা খারাপ। হতে পারে ডগায় ব্যথা। কারণ ওই জায়গার পেশিতে বেশি চাপ পড়ায় তা ব্যথার উদ্রেক করতে পারে।
হাতের ব্যথা ছড়াতে পারে ঘাড়ে কিংবা পিঠে। তাই সতর্ক থাকুন। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে কোনও রকমের ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ মত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করলে দ্রুত এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এই ব্যথার কারণ হিসেবে চিকিৎসকদের মতামত, দীর্ঘদিন ধরে চাপ পড়তে পড়তে পেশীগুলি শক্ত হয়ে এই সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই ব্যয়াম বা শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে পেশী শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথাও অনেক কমে আসে। অথবা থেরাপি এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ মত তাই কোনও ফিজিওথেরাপিস্ট এর শ্মরনাপন্ন হতে পারেন।