সংক্ষিপ্ত
- বাইরের দূষণের মতো ঘরের ভেতরকার দূষণও কিছু কম নয়
- অন্য়ান্য় দেশে এই ইনডোর পল্য়ুশন নিয়ে নানারকম ভাবনা
- আমাদের দেশে আমরা পিছিয়ে আছি এই ভাবনা থেকে
- এর মোকাবলিয়া নার্সারি থেকে কিনে আনুন ইনডোর প্লান্টস
জানেন তো ঘরের ভেতরও দূষণ কিছু কম হয় না। বিদেশে তো ইনডোর পল্য়ুশন নিয়ে লোকেরা রীতমতো চিন্তিত। ওদের ওখানে নাকি ঘরের ভেতরের দূষণ বাইরের চেয়ে কিছু কম যায় না। আমাদের এখানে অবশ্য় বায়ুদূষণ এতই সাংঘাতিক যে নাকোশ গুঁজে রাস্তায় হেঁটেও সুস্থ থাকতে পারি না। সেখানে ঘরের ভেতরের দূষণ নিয়ে ভাববার মতো সময় আর কোথায়। কিন্তু এবার বোধহয় এই ইনডোর পল্য়ুশন নিয়েও ভাববার মতো সময় এসেছ। বিভিন্ন পরিসংখ্য়ান বলছে, আমাদের এখানেও ঘরের ভেতরকার দূষণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
যে ইনডোর প্ল্য়ান্টস আমরা ঘর সাজাতে ব্য়বহার করি অনেক সময়ে, সেই ছোট-ছোট গাছগুলোই কিন্তু পারে ঘরের দূষণ থেকে আমাদের বাঁচাতে। যেগুলো অক্সিজেন উৎপাদন করে ঘরের মধ্য়েকার বাতাসকে দূষণমুক্ত করে।
আপনার খুশি মতো ইনডোর প্লান্টস কিনে আনতে পারেন নার্সারি থেকে। কোনও বাধা নেই। তবে চাইনিজ এভারগ্রিন খুব জনপ্রিয় গাছ। ঘরকে দূষণমুক্ত রেখে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ বা কণা থেকে মুক্ত রাখতে এই গাছ কিনে আনতেই পারেন। জানেন তো, একে বাঁচিয়ে রাখার জন্য় খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না? আর হ্য়াঁ, সূর্যের প্রখর আলোর চাইতে ঘরের কোণের ছায়াই এর পছন্দের জায়গা। তবে টবের মাটি একটু ভিজিয়ে রাখতে কিন্তু ভুলবেন না।
চাইলে আপনি জারবেরা ডেইজি কিনে আনতে পারেন নার্সারি থেকে। এই গাছটি আপনার ঘরের কোণে ঢুকে নিঃশব্দে নীরবে বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদন করে যাবে। সেইসঙ্গে ঘরের বাতাসকে দূষিত কণা বা রাসায়নিক থেকেও মুক্ত করবে। বসার ঘরের চেয়ে সাধারণত শোবার ঘরেই এই গাছ রাখা হয় বেশি।
চাইলে আপনি এরিকা পাম নামে গাছটির কথাও ভাবতে পারেন। ভারি সুন্দর গাছ এটি। ঘরের ভেতরের বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই একে এয়ার পিউরিফায়ারও বলতে পারেন। বসার ঘরে রেখে দিন এই গাছ। আপনার ড্রইংরুমকে সবুজ আর সুন্দর করে তুলবে এরিকা পাম।
স্নেক প্লান্ট বলে একটি সুন্দর গাছ আছে। তবে নাম শুনে ভয়ের কোনও কারণই নেই। নার্সারি থেকে কিনে আনতে পারেন এই গাছ, টবসুদ্ধ। বসার ঘরে যদি থাকে এরিকা পাম, তো একে শোবার ঘরেই রাখুন। অন্য়ান্য় ইনডোর প্ল্য়ান্টের মতোই এরও খুব একটা বেশি যত্নআত্তি লাগে না। তবে যে ইনডোর প্লান্টই রাখুন না কেন ঘরে, সপ্তাহে একদিন অন্তত জল দিন। আর বাইরের বারান্দায় নিয়ে গিয়ে রোদের মধ্য়ে রাখুন।