সংক্ষিপ্ত
৩৯ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ঝনঝনে রোদের মধ্যে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে বরযাত্রীরা। আর তাদের মাথার উপরে রয়েছে উজ্জ্বল হলুদ রঙের শামিয়ানা। আসলে সেটি এক মণ্ডপ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিন অনেক কিছুই ভাইরাল হয়ে যায়। ঠিক যেমন ভাইারাল হয়েছে এই বিয়ের ভিডিওটি। রোদের সঙ্গে পাল্লা দিতে অভিনব পদ্ধতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চাঁদিফাটা রোদে প্রাণ রাখাই যেন দায়। দেশের নানা প্রান্তে চলছে তাপপ্রবাহ। কিন্তু তা বলে কি বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা যায়? বরং কী করে কার্যোদ্ধার করা যায়, সেটাই চ্যালেঞ্জ। আর এই ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে ভারতীয়রা যে বরাবরই সিদ্ধহস্ত। এবার নজরে এল তেমনই এক ‘জুগাড়’। হিন্দি এই শব্দটি জনপ্রিয় হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। এর যথাযথ বাংলা আজও অমিল। বলা যায়, কঠিন চ্যালেঞ্জের সমাধান করতে সহজলভ্য কোনও পদ্ধতি অবলম্বন করা। আর এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যা বোঝা যাচ্ছে ভাইরাল এক ভিডিও দেখে।
কী দেখা যাচ্ছে ওই ভিডিওতে? ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ঝনঝনে রোদের মধ্যে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে বরযাত্রীরা। আর তাদের মাথার উপরে রয়েছে উজ্জ্বল হলুদ রঙের শামিয়ানা। আসলে সেটি এক মণ্ডপ। চলমান মণ্ডপ। আর সেই ‘মোবাইল’ মণ্ডপের কারণেই রোদ্দুরের আঁচ লাগছে না কারও গায়ে। ইন্টারনেটে ওই ভিডিও দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন- ‘বিয়ে ঠিক হয়েছে, পালাতে সাহায্য করো’, ১০ টাকার নোটে বিশালকে বার্তা কুসুমের
জনৈক নেটিজেনটি ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন, ”এই কারণেই ভারতকে বলা হয় ‘জুগাড়’ তথা উদ্ভাবনের দেশ। তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে বরযাত্রীরা বের করেছে এই সমাধান।” মজাদার এই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই সেটি শেয়ার করেছেন। সেই সঙ্গে মজাদার কমেন্টও করেছেন। এক নেটিজেন যেমন লেখেন, ”আমরাই ‘জুগাড়ে’র রাজা।” আবার কেউ কেউ আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, ”এটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।”
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সূর্যের উত্তাপে পুড়ছে দেশ। বৈশাখের শুরু থেকে তীব্র গরমে কার্যত হাসফাঁস দশা গোটা দক্ষিণবঙ্গের। টানা প্রায় ২ মাস হয়ে গেল দক্ষিণে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি নেই, কালবৈশাখী তো এখনও অনাগত। এদিকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই চড়ছে। এই অবস্থায় বাংলার কোনও বিয়েতেও কি অনুসৃত হবে এমন কোনও উদ্ভট বিয়ের আসর।
আরও পড়ুন- ফাঁকা বাড়ি, চেয়ার টেনে নিয়ে গিয়ে খাবার চুরি করে খেল সারমেয়