সংক্ষিপ্ত
জ্বর হওয়া, ঠান্ডা লাগা তো রয়েইছে, এর পাশাপাশি জলবসন্ত বা চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচাইতে বেশি। এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। বিশেষত, শিশুদের এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যে কোন ঋতু পরিবর্তনের সময় ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই শরীরখারাপ হয়ে থাকে।
জ্বর হওয়া, ঠান্ডা লাগা তো রয়েইছে, এর পাশাপাশি জলবসন্ত বা চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচাইতে বেশি। এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। বিশেষত, শিশুদের এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যে কোন ঋতু পরিবর্তনের সময় ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই শরীরখারাপ হয়ে থাকে। তবে এখন শুধু শিশুদেরই নয়, যে কোনও বয়সেই এটি হতে পারে। বিশেষত, বসন্ত কালে এই রোগটি সবচাইতে বেশি হতো। কিন্তু এখন আর কোনও সময় লাগে না, বছরের যে কোনও সময়েই দেখা দিতে পারে এই রোগ। সবচাইতে বেশি গরমের সময়ে এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তাই এই সময়টাতে বাচ্চাকে এবং পরিবারের সকলকে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
চিকেন পক্সের লক্ষণ
চিকেন পক্সের বিশেষ কতগুলি লক্ষণ রয়েছে। যেগুলি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার চিকেন পক্স হয়েছে। যেমন, প্রথমত শরীরে লালচে রঙের ঘামাচি বা ব়্যাশের মতোন গুটি গুটি বের হবে। শরীর ম্যাজম্যাজ করবে। গা-হাত পায়ে ব্যথা হবে। কাপুনি দিয়ে জ্বর আসবে। হাঁচি, কাশি, ব্যবহৃত জিনিসপত্রের মাধ্যমে এই রোগটি বেশি ছড়িয়ে যায়।
চিকেন পক্স হলে কী কী করবেন
জলবসন্ত বা চিকেন পক্স হলে আক্রান্ত রোগীকে আলাদা একটা ঘরে রাখুন। কারণ এই রোগটি খুবই ছোঁয়াচে। তারা ব্যবহার করা পোশাক, তোয়ালে যেন অন্য কেউ ব্যবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। রোগীকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
হালকা উষ্ণ জলে স্নান করান। চাইলে নিম পাতা সেদ্ধ জলে স্নান করাতেও পারবেন না। তোয়ালে দিয়ে বেশি চেপে গা মুছবেন না। যতটা সম্ভব হালকা ভাবে গা মুছে নিন।
চিকেন পক্স হলে ব়্যাশ গুলো খুব চুলকোতে থাকে। ভুল করে নখ দিয়ে চুলকোবেন না। চাইলে নিমপাতার ডাল দিয়ে হালকা ভাবে চুলকে নিন। নখ দিয়ে খুটলে এই দাগ আরও স্পষ্ট হয়ে দাগ বসে যাবে।
অ্যালার্জি যুক্ত কোনও খাবার এই সময় খাবেন না। যেমন, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, কুমড়ো, পুইশাক এইগুলো এড়িয়ে চলুন।
জ্যান্ত মাছের ঝোল, চিকেন স্টু এই ধরনের হালকা খাবার খাওয়ান। ভাজা-ভুজি যতটা পারবেন কম খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন এই সময়।
প্রতিকার বা চিকিৎসা
এই ভাইরাসঘটিত রোগের বিশেষ কোনও ওষুধের প্রয়োজন হয় না। ঠিকঠাক নিয়ম মেনে চললে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই পক্স ভাল হয়ে যায়। যাদের অতিরিক্ত মাত্রায় এই পক্স হয় তারা ডাক্তারের পরামর্শ মতে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন।
বেশি মাত্রায় জ্বর হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে যেই ওষুধই খাবেন না কেন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান।
আরও পড়ুন- শীতের রুক্ষতা ছাপ ফেলতে পারবে না ত্বকে, স্নানের পরে রোজ এই টিপসে হবে কামাল
আরও পড়ুন- মেনে চলুন এই চার পদ্ধতি, কালীপুজোর আগে ত্বকে আসবে জেল্লা, জেনে নিন কীভাবে
আরও পড়ুন- সেক্সের সময় এটা মাস্ট, জানেন কি অতিরিক্ত যৌনতৃপ্তি পেতে গিয়ে জটিল রোগে পড়তে পারেন আপনি