সংক্ষিপ্ত
আমাদের সমাজে কন্যাসন্তানকে অনেকে ভগবান ভেবে লালন-পালন করেন আবার কেউ কেউ কন্যা সন্তানকে অভিশাপ বলে মনে করেন। ঠিক এই কারণেই এখনো পর্যন্ত দেশে কন্যা ভ্রুণকে নষ্ট করে দেওয়া হয়।
চাণক্য বলেছিলেন কোনও পরিবারে একজন মেধাবী মহিলা থাকলে তাকে সম্মান জানানো উচিত। চানক্যের মতে, মানমসম্পন্ন মহিলা দরিদ্র পরিবারে থাকলেও তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে জীবনসঙ্গী করার চেষ্টা করা উচিত। আপনি যদি চানক্যকে বিশ্বাস করেন, তবে জানবেন শত্রুর ঘরে যদি কোনও জ্ঞানী মহিলা থাকেন তবে তার সম্পর্কে অহংকার ত্যাগ করা উচিত। কারণ যেখানেই একজন মহিলা যাবেন সেখানে ভাল গুণাবলী এবং গুণাবলীতে পূর্ণ করবেন। তিনি একজন পুরুষের তুলনায় বংশ এবং পরিবারের সম্মান বাড়াবেন।
আমাদের সমাজে (society) কন্যাসন্তানকে (Girl Child) অনেকে ভগবান ভেবে লালন-পালন করেন আবার কেউ কেউ কন্যা সন্তানকে অভিশাপ (curse) বলে মনে করেন। ঠিক এই কারণেই এখনো পর্যন্ত দেশে কন্যা ভ্রুণকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। নতুবা কন্যা সন্তান জন্মায় তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়। কিন্তু এই কন্যাসন্তান পারে আমাদের সমাজকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে। কোন দম্পতির প্রথম সন্তান কন্যা হলে কি সৌভাগ্য বয়ে আনে?
১) মেয়েদের থেকে ছেলেরা এগিয়ে থাকলেও মেয়েরা বরাবরই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়। মেয়েরা নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে উদগ্রীব হয়। দেখা গিয়েছে যে কোন পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্যে মাধ্যমিক থেকে শুরু করে উচ্চতর শিক্ষা পর্যন্ত ছেলেদের থেকে মেয়েদের ফলাফলই এগিয়ে থাকে। বিশ্বের নোবেল জয়ী ব্যক্তিদের যদি লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষ পরিবারের বড় সন্তান হয়।
২) বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে যদি খোঁজ নেওয়া যায় তাহলে দেখতে পাবেন অধিকাংশ নারী বৈজ্ঞানিক হলেন পরিবারের প্রথম সন্তান। বিজ্ঞানী জেন গডঅল একটি গেরিলাকে রক্ষা করার জন্য নিজের জীবনকে বিপন্ন করেছিলেন।
৩) পরিবারের প্রথম সন্তান সর্বদাই অভিভাবকদের ভালোবাসার পাত্র হন। পরিবারের প্রথম সন্তানের প্রতি অভিভাবকরা বেশি যত্নশীল হন তাই তারা অন্যান্য ছেলে মেয়েদের তুলনায় অন্তত ৭ শতাংশ বেশি পড়াশোনা করতে পারে।
আরও পড়ুন-ক্যান্সার-হৃদরোগ ঘেঁষবে না কাছে, মাথায় রাখুন এই সহজ টোটকাগুলো
আরও পড়ুন-মাত্র ১০ মিনিটে জেল্লা ফেরান ত্বকের, রইল খুব সহজ উপায়ের হদিশ
আরও পড়ুন-৮ঘণ্টা নাকি তারও কম বা বেশি, ঠিক কতক্ষণ ঘুম জরুরি- জানাল নতুন গবেষণা
৪) গবেষকরা বলেন প্রথম সন্তান যদি নারী হয় তাহলে সেই নারী বিশ্বের ক্ষমতাশালী নারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ক্রিস্টিন লাগার্লারদে, শেরিল স্যান্ডবার্গ প্রমুখ ব্যক্তিরা হলেন তাদের পরিবারের প্রথম সন্তান।
৫) এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ ও অর্থনৈতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট ফেইফেইবু এর গবেষণা থেকে জানা যায় পরিবারের বড় সন্তান এরা অন্যান্য সন্তানের থেকে বেশি কৃতিত্ব এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়। যদি পরিবারের ছেলে মেয়ের মধ্যে চার বছর বা তার বেশি ব্যবধান হয় তাহলে পরিবারের বড় সন্তানের দ্বারা ওই পরিবারের কনিষ্ঠরাও পড়াশোনায় উন্নতি করে।