সংক্ষিপ্ত
কেউ কেউ বাড়ি সাজাচ্ছেন রকমারী আলোয়। আবার কেউ কিনে ফেলেছেন ক্রিসমাস ট্রি (Christmas Tree)। জানেন কি কেন বড়দিনের উৎসবে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়। জেনে নিন নেপথ্যের কাহিনি।
ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বড়দিনে উৎসব। ফ্রিজে মজুত হতে শুরু করেছে কেক (Cake), চকোলেট (Chocolate), চিপস, কোল্ড ড্রিংক্স। উৎসবটা পশ্চিমী দেশগুলোর হলেও, এই আনন্দ থেকে আমরা বাদ পড়িনি। বহুদিন ধরেই বাঙালিদের মধ্যে বড়দিন পালনে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। চারিদিক সেজে ওঠে আলোয়। কেউ কেউ বাড়ি সাজাচ্ছেন রকমারী আলোয়। আবার কেউ কিনে ফেলেছেন ক্রিসমাস ট্রি (Christmas Tree)। জানেন কি কেন বড়দিনের উৎসবে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়। জেনে নিন নেপথ্যের কাহিনি।
বড়দিনের উৎসবে ক্রিসমাস ট্রি বা এক্সমাস ট্রি (Xmas Tree) সকলের নজর কাড়ে। অনেকে বিশ্বাস করেন, এই গাছ যত সুন্দর করে সাজাতে পারবেন, আগামী বছর তত ভালো যাবে। এই কারণে ক্রিসমাস ট্রি আরও সুন্দর করে তুলতে ক্রিসমাস বল, ক্রিসমাস বেল, রিবন, ক্যান্ডি, মোজা লাগানো হয়। তবে, জানেন কি গাছ কেন সাজানো হয় যীশুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে।
বড়দিনের উৎসব মূলত খ্রিস্টানধর্মাবলম্বীদের। যীশুর জন্মদিন পালন করেন তারা। এই জন্মদিন উপলক্ষ্যে চারিদিক সাজানো হয়। এক সময় এই উৎসব মূলত শীতপ্রধান (Winter) দেশে পালিত হয়। সেখানে পাইন ও দেবদারু গাছগুলোকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করা হয়। যীশুর জন্মের বহু আগে থেকে এই রীতি প্রচলিত। তারা বাড়ির সামনে পাইন ও দেবদারু গাছ লাগাতেন। এতে নাকি অশুভ শক্তি দূর হয়, এমন মনে করা হত। পরে জার্মানিতে প্রথম ক্রিসমাস ট্রি (Christmas Tree) সাজানোর রীতি চালুন হয়। তারাই প্রথম বড়দিনের দিন আলো দিয়ে গাছ সাজাতেন। গাছের ওপর একটি তারা রাখতেন। যা যীশু খ্রিস্টের প্রতিক।
এভাবেই ধীরে ধীরে সব দেশে বড়দিনের উৎসবে ক্রিসমাট ট্রি (Christmas Tree) ডেকরেশনের রীতি চালু হয়। এখন সব জায়গায়ই বড়দিনের (Christmas) উৎসব উপলক্ষ্যে এই গাছ সাজানো। এই গাছকে সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। মনে করা হয়, ফার গাছ লাগালে সকল অসুভ শক্তি দূর হবে। আবার অনেকে আদম ও ইভের সঙ্গে এই গাছের সম্পর্কের কথা বলেন। অনেকে বলেন, আদাম ও ইভের জন্যই প্রথম পোঁতা হয়েছিল এই গাছ (Tree)। সে যাই হোক, উৎসবটা পশ্চিমী দেশগুলোর হলেও, এই আনন্দ থেকে আমরা বাদ পড়িনি। ইতিমধ্যে চারিদিক সেজে উঠেছে। সকলেই ব্যস্ত উৎসবের আমেজে গা ভাসাতে।