সংক্ষিপ্ত
করোনার সময় ডাক্তাররা যেভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং লাখ লাখ জীবন বাঁচিয়েছেন তা সত্যিই একটি মহৎ কাজ। ইতিহাসে এমন অনেক চিকিৎসক রয়েছেন যাদের এই দিনে স্মরণ না করলেই নয়।
ডাক্তারকে ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়। ডাক্তাররা মানুষকে জীবন দান করে। এমতাবস্থায় মানুষ মানুষরূপী চিকিৎসকদের পূজা করে। ভারতে, ১ জুলাই ডাক্তার দিবস হিসাবে পালিত হয়। এই দিনে লোকেরা ডাক্তারদের কাজের জন্য এবং তাদের সম্মানে তাদের মঙ্গল কামনা করে। তাদের নিরলস সেবার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করে। করোনার সময় ডাক্তাররা যেভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং লাখ লাখ জীবন বাঁচিয়েছেন তা সত্যিই একটি মহৎ কাজ। ইতিহাসে এমন অনেক চিকিৎসক রয়েছেন যাদের এই দিনে স্মরণ না করলেই নয়।
জাতীয় চিকিৎসক দিবসের ইতিহাস
কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯১ সালে জাতীয় ডাক্তার দিবস উদযাপন শুরু করে। এই দিনটি একজন মহান ডাক্তারের মৃত্যুবার্ষিকীও চিহ্নিত করে। তাদের স্মরণ করে এবং চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে, ১ জুলাই, মহান ভারতীয় ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় জন্মগ্রহণ করেন। তার স্মরণে এই দিনটিকে চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ডঃ বিধানচন্দ্র রায় একজন মহান চিকিৎসক ছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন।
ডঃ বিধান চন্দ্র রায় মহাত্মা গান্ধীর নির্দেশে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি একজন মহান সমাজসেবক, আন্দোলনকারী এবং একজন উন্নত মনষ্ক রাজনীতিবিদও ছিলেন। স্বাধীনতার সময় তিনি অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন। কেউ কেউ তাকে মহাত্মা গান্ধী ও চাচা নেহরুর ডাক্তার হিসেবেও চিনতেন।
বিধানচন্দ্র রায় একজন মহান চিকিৎসক ছিলেন
ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় ১৮৮২ সালের ১লা জুলাই বিহারের পাটনার খাজাঞ্চিতে জন্মগ্রহণ করেন। বিধানচন্দ্র মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ভারত থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং ইংল্যান্ড থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। শিয়ালদহ থেকে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সরকারি হাসপাতালে একজন পরিশ্রমী ও চৌকস চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন- জেনোভার তৈরি ভারতের প্রথম MRNA ভ্যাকসিন পেল DCGI ছাড়পত্র
আরও পড়ুন- অ্যাক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কী, জেনে নিন এর কারণ এবং এর উপসর্গগুলি
আরও পড়ুন- আপনারও কি খালি পেটে বমি পায়, তবে জেনে নিন এর কারণগুলি
সমাজসেবক বিধানচন্দ্র রায়
বিধান চন্দ্র রায়ও একজন মহান সমাজসেবক ছিলেন। তার অবদান ভোলা যায় না। তিনি তার সমস্ত উপার্জন দাতব্য কাজে দান করেছিলেন। স্বাধীনতার সময় তিনি লাখো আহতের সেবা করেছেন। এই কারণেই আজও ডঃ বিধানচন্দ্র মানুষের কাছে আদর্শ। মানুষ তার মতো দেশের সেবা করতে চায়।