সংক্ষিপ্ত

  • দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ চড়ছে
  • এদেশে চিনা অ্য়াপ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার
  • মোদীর সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিনেতা সোহম
  • করোনা ভাইরাস নিয়েও কটাক্ষ কেন্দ্রকে

শাজাহান আলি, মেদিনীপুর:  'চিন নোংরা রাজনীতি করছে। তাদের জন্য গোটা বিশ্ব সংকটে। বিরোধিতা করতে হবে। কিন্তু, কয়েকটি অ্যাপকে নিষিদ্ধ করলেই কি ভারতীয় সৈন্যরা যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের প্রাণ ফিরে আসবে?' কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার সরব হলেন অভিনেতা ও তৃণমূলের যুবশক্তির রাজ্য কো-অর্ডিনেটর সোহম চক্রবর্তী। করোনা ভাইরাস নিয়েও মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: জ্বরে কাবু দলের একাধিক নেতা-নেত্রী, করোনা আতঙ্কে রাস্তার কর্মসূচি বাতিল করছে বিজেপি

বাংলার সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতাই শুধু নয়, সোহম চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতাও বটে। তাঁকে দলের যুবশক্তির রাজ্য কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দিয়েছেন এ রাজ্যের শাসকদল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে যুবশক্তির সদস্যদের নিয়ে সভা করেন সোহম। সভায় তিনি বলেন, 'সারা বিশ্ব এখন করোনা সংকটে ভুগছে। কিন্তু ছয় বছর আগে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই টার্গেট করেছে বাংলাকে। আর সেই সব করোনার বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।' দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে সোহমের বার্তা, 'কোনওভাবেই ব্যক্তিস্বার্থকে দলের স্বার্থের উপরে আনবে না। যিনি বিরোধিতা করছেন, তিনি মন করবেন, স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করছেন।' 

এখানেই শেষ নয়। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকাও যে গুরত্বপূর্ণ, সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সোহম চক্রবর্তী। বিরোধীদের তাঁর কটাক্ষ, 'যারা মিডিয়াতে মাইলেজ নেওয়ার চেষ্টা করে তাদের সেখানেই থাকতে দিন। ডিজিটালাইজেশনের দিকে আমরা এগিয়ে চলেছি। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। জবাব দিতে হবে বিরোধীদের।'  সোহমের আরও বক্তব্য, 'আত্মসমালোচনা মানে নিজেদের দুর্বল করা নয়। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শ থেকে কিছুটা হলেও যাদের বিচ্যুতি ঘটেছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনাটাই মূল লক্ষ্য।'

আরও পড়ুন: আমফানের ত্রাণ বিলিতে 'স্বজনপোষণ', প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ঘেরাও তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান

মেদিনীপুরে তৃণমূলের যুবশক্তির সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি, জেলা যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, কার্যকরী সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী প্রমুখ। অপরদিকে, ঝাড়গ্রামের একটি বেসরকারি লজে আয়োজিত সভায় ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী বীরবাহা সোরেন, যুব সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা প্রমুখ।