সংক্ষিপ্ত

  • ভোর থেকেই রাস্তায় বনধ সর্মথকরা
  • ভোর থেকেই অফিস-আদালতে লাল পতাকা লাগিয়ে বন্ধ রাখার চেষ্টা
  • সামাল দিতে নেমে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি বহু স্থানে
  • ঘাটালে ভেঙে দেওয়া হলো প্রাইভেট বাস

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েব সমর্থকদের দাপাদাপি শুরু হয়েছিল ভোর থেকেই। পুলিশ বের হওয়ার আগেই সমস্ত অফিস-আদালতের দরজায় গিয়ে লাল পতাকা লাগিয়ে দিয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে সব খুলে দেয়। জোর করে বন্ধ রাখতে গিয়ে পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। মেদিনীপুর শহর খড়গপুর শিল্পাঞ্চলে পুলিশের সঙ্গে গন্ডগোল সব থেকে বেশি।

খড়গপুর শিল্পতালুকে জোর করে কারখানা বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। টাটা হিটাচি, রেশমি মেটালিকস, টাটা মেটালিকস ও প্লাস্টিক কারখানা তে এই চেষ্টা ছিল সবথেকে বেশি। বদ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ মোকাবিলা করতে গিয়ে দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয়েছে। খড়গপুর শিল্পতালুক থেকে বাম শ্রমিক নেতা বিপ্লব অট্ট সহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মেদিনীপুর শহরে মেদিনীপুর কলেজের গেট বন্ধ রাখার চেষ্টা করলে পুলিশ ও টিএমসিপির সঙ্গে এসএফআই সমর্থকদের গন্ডগোল বাধে। দীর্ঘক্ষণ গেট বন্ধ রাখার পর পুলিশ গেট খুলতে সক্ষম হয়। একইভাবে জেলাশাসকের দপ্তর ও মেদিনীপুর আদালতের বন্ধ দরজা খুলে দিয়েছে । তবে পরিস্থিতি দেখে সকাল থেকেই রাস্তায় নামেনি কোন বেসরকারি যানবাহন।

মেদিনীপুর শহরের দোকানপাট ছিল বন্ধ। বেশিরভাগ যানবাহন বন্ধ থাকায় শহরের রাস্তায় কোন পথচারী তেমন দেখা যায়নি। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডে বেশিরভাগ বেসরকারি বাস দাঁড়িয়েছিল। ঘাটাল একটি বেসরকারি বাস যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় ভাঙচুর করে বনধ সর্মথকরা।

ঘাটাল ও মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরাও অবরোধ অবস্থানে শামিল হয়েছিল।পুলিশ এই সমস্ত বিক্ষোভ ও অবস্থানকারীদের মধ্য থেকে মেদিনীপুর ঘাটাল মিলিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।