সংক্ষিপ্ত
- দিদিকে বলো প্রোগ্রামে গিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক আশ্রয় নিয়েছিলেন এক অনুগামীর বাড়িতে
- বিষয়টি ভালো মনে নেয়নি তৃণমূলের অপরগোষ্ঠী
- প্রাক্তন বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি ফেরত যেতেই পেটানো হলো আশ্রয়দাতাকে
- বিষয়টি নিয়ে দলের শীর্ষ নেতা ও পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়
দলের প্রাক্তন বিধায়ককে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে প্রহৃত হলেন খোদ বাড়ির মালিক। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার অন্তর্গত ভবানীপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, ভবানীপুর এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি গিয়েছিলেন দিদি-তে বলো কর্মসূচিতে অংশ নিতে। প্রচার এবং অন্যান্য কাজ সেরে রাধাকান্ত ডেবরার ভবানীপুর এলাকায় তৃণমূল কর্মী সুরজিৎ দলুই-এর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অভিযোগ, প্রাক্তন বিধায়ক বেরিয়ে যেতেই বাড়ির মালিকের উপরে চড়াও হন খোদ তৃণমূল কংগ্রেস-এর অপর এক গোষ্ঠী।
সোমবার সারারাত দলের কাজকর্ম সেরে সুরজিৎ-এর বাড়িতে আসেন রাধাকান্ত। ওই এলাকায় তৃণমূলের অপর একটি গোষ্ঠীর দাপাদাপি রয়েছে। জগন্নাথ মুলা নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা রাধাকান্ত বিরোধী। অভিযোগ -জগন্নাথের অনুগামীরা মঙ্গলবার সুরজিৎ এর পরিবারের লোকজনকে এলাকার টিউবওয়েল থেকে পানিয় জল নিতে বাধা দেয়। প্রতিবাদ করতেই বেধড়ক মারধর করা হয় পরিবারের লোকজনকে।
মার খেয়েছেন সুরজিৎ দোলই ও তার স্ত্রীও। ঘটনার পরই ডেবরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আক্রমণ কারীদের বিরুদ্ধে। সুরজিৎ জানায়- রাধাকান্ত মাইতি কে কেন বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া তার জন্যই একাধিক প্রশ্ন করছে ওই লোকজন। এলাকার কোন পরিষেবা নিতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে রাধাকান্ত মাইতি বলেন-আমি ওই বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম বলে তৃণমূলের আমাদের ওই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতা কে জানিয়েছি। সেইসঙ্গে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে জগন্নাথ মুলা। তিনি বলেন-এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।