সংক্ষিপ্ত
- সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা জেনেও পালাচ্ছিল ধৃত
- পুলিশের হাজারো চেষ্টায় শেষমেশ হাসপাতালে
- বেলেঘাটা আইডিতে রেফার করলেও যায়নি সন্দেহভাজন
- খড়গপুরে করোনা সন্দেহভাজনকে নিয়ে শুরু আতঙ্ক
দাগি আসামি নয়, সন্দেহভাজন এক সংক্রামক বেলেঘাটা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ঘোরাফেরা করছে খড়গপুর শহরে-এই খবর পেয়ে তাকে খুঁজে বের করতে ঘাম ছুটে গেল খরগপুর টাউন থানার পুলিশ ও পৌর প্রশাসনের।ভারতীয় মহামারী প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, পলাতক এই রোগী অবশ্য় খুনের আসামির চাইতেও মারাত্মক কাজ করেছে। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা হতে পারে জেনেও পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। অবশেষ তাকে খুঁজে বের করে ফের তুলে দেওয়া হলো স্বাস্থ্য দফতরের হাতে।
আপাতত স্বস্তি, করোনা আক্রান্তের বাবা-মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ
জানা গিয়েছে, খড়গপুর শহরের ভবানীপুর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক যুবক সম্প্রতি জ্বর ও বুকে ব্যথা নিয়ে প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে।সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছিলেন।সেখানে ওই যুবকের অবস্থা সন্দেহজনক মনে হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ওই যুবককে পাঠানো হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল তাকে নীলরতন হাসপাতালে পাঠায় বিভিন্ন লক্ষণ বিবেচনা করে। ১৭ মার্চ ওই ব্যক্তিকে নীলরতন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তিনি " স্ট্রং সাসপিসিয়ান অফ করোনা।"অর্থাৎ অতিমাত্রায় করোনা সন্দেহভাজন। তাকে পুনরায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতলে পাঠানো হয়।
হাসপাতালে না গিয়ে ছেলে মলে, আমলার শাস্তির দাবি নেটিজেনদের
গত মঙ্গলবার রেফার হওয়া ওই যুবক বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে না গিয়ে পরিবার সহ খড়্গপুরে তার নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন বলে জানা যায়। এলাকার লোকজন তাকে ঘিরে সন্দেহ শুরু করে। তার রিপোর্ট দেখে হতবাক হয়ে যান সকলেই, আতঙ্ক ছড়িয়ে যায় সংক্রমণের। স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে তাকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ওই সংক্রান্ত ওয়ার্ড না থাকায় বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় পুনরায়।
পরিবারে প্রভাবশালী দেখিয়ে সংক্রমণ ছড়াবেন না,রাজ্য়ের আমলাকে সতর্ক করলেন মমতা
ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে যায়। করোনা সন্দেহভাজনকে বেলেঘাটাতে রেফার হওয়ার পরও সেখানে না গিয়ে টোটোতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে খড়গপুর শহরে। পৌর প্রশাসন ও খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ হন্যে হয়ে খোঁজ শুরু করে শহরজুড়ে।অনেক পরে খুঁজে বের করে তাকে পুনরায় রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন পুলিশ ও আধিকারিকরা।