সংক্ষিপ্ত
- পুজোর সময় ফার্স্টফুডের দোকানে কেমন খাবার
- অভিযানে নেমে দোকানকর্মীর রোষের মুখে খাদ্য দফতর
- ফ্রিজের মধ্যে রাখা বাসি খাবার, কাটা দুধের প্যাকেট
- কারন জানতে চাইলে দোকানের মালিকের সঙ্গে বচসা
সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর- একদিকে করোনার থাবা। তারপর আবার এই আতঙ্কের আবহের মধ্যেই বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই অবস্থায় পুজোর সময় কী ধরনের খাবার দিচ্ছে রাস্তার ফার্স্টফুডের স্টলগুলি? সেই খাবারের গুণগত মানগুলি বা কেমন? গ্রাহকদের সুস্বাস্থ্য খাবার দিচ্ছেন তো রেস্তোরাঁর মালিকরা? তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও খাদ্য দফতর। রাস্তার ধারে ফুড স্টল গুলিতে পুরনো দিনের খাবার ফ্রিজেলর মধ্যে রাখা রয়েছে। প্রশ্ন করায় খাদ্য দফতরের কর্মীদের সঙ্গে বাক বিকণ্ডায় জড়ালেন দোকান মালিকরা। কোনও কোনও কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন-থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা, পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম কয়েকজন বিজেপিকর্মী
ফার্স্টফুডের দোকানে কী দেখলেন?
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। শুক্রবার কোলাঘাটে খাবারের গুণগত মান পরীক্ষা করতে রাস্তার ধারে বিভিন্ন ফার্স্টফুডের দোকান ও রেস্তোরাঁয় হানা দেয় খাদ্য দফতরের কর্মীরা। দোকানের হেঁসেলে ঢুকে যা দেখলেন তা দেখে হতবাক হলেন তাঁরা। ফ্রিজের মধ্যে রাখা রয়েছে কাটা দুধের প্যাকেট, পুরনো বাসি খাবার। শুধু তাই নয়, দোকানের মধ্য়ে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা নেই বলে অভিযোগ। ফ্রিজ থেকে বের হচ্ছে মেয়াদ ফুরনো খাদ্য দ্রব্য। দোকান মালিকদের প্রশ্ন করলে, বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে নিজেদের দোষ ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখান থেকে বের হতেই জেলার ইনফোর্সমেন্ট ইন্সপেক্টরকে হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-গৃহস্থের বাড়িতে ভূতের আতঙ্ক, বাড়ির দেওয়াল অদৃশ্যভাবে ফুটে উঠছে আঁকি-বুকি
সরকারি নিয়ম না মেনে যেসব ফার্স্টফুডের দোকান ও রেস্তোরাঁ চালানো হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। কোনও দোকানের লাইসেন্স নেই। তাঁদেরকে দ্রুত লাইসেন্স রেুনুয়াল করার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্য দফতরের কর্তারা। যাঁরা বেআইনিভাবে খাদ্য সুরক্ষা বিধি মানছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক মিনু কুণ্ডু।