সংক্ষিপ্ত
- চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে গিয়েও নিস্তার নেই
- অভিযোগ, নাবালিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে কোয়াক ডাক্তার
- পরে নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে
- অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত
চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে গিয়েও নিস্তার নেই ৷ অভিযোগ, সুযোগ পেয়ে নাবালিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করল কোয়াক ডাক্তার ৷ কোনওমতে নিজেকে ছাড়িয়ে বাড়িতে ফিরে আসে নাবালিকা ৷ পরে পরিবারের লোককে সব জানালে ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা চড়াও হয় হাতুড়ে ডাক্তারের ওপর ৷ পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই কোয়াক ডাক্তারকে। পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে তুললে বিচারক ওই হাতুড়ে ডাক্তারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷
রাষ্ট্রপতি কি প্রতিদিন কথা বলেন, রাজ্য়পালকে মনে করালেন পার্থ
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে ৷ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হাতুড়ে চিকিৎক শ্রীকান্ত বেরার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে৷ তার কাছেই মায়ের চিকিৎসার ওষুধ নিতে গিয়েছিল স্থানীয় এক নাবালিকা ৷ সূত্রের খবর, ওই নাবালাকির মা কয়েকদিন ধরেই নাকি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন ৷ নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে তাকে ওষুধ দেওয়ার অছিলায় চেম্বারে অশালীন আচরণ করে ডাক্তার। পরিস্থিতি বুঝে কোনওভাবে সেখান থেকে দৌড়ে বাড়িতে চলে আসে নাবালিকা ৷ পরিবারের লোকেরা ওষুধের কথা জানতে চাইলে পুরো ঘটনার কথা বাড়ির লোকেদের জানিয়ে দেয় সে।
উত্তর দিনাজপুরে সিএএ বিরোধিতায় স্কুল ছাত্ররা, তৃণমূলের নোংরা রাজনীতি দেখছে বিজেপি
এরপরই বাড়ির লোকেরা উত্তেজিত হয়ে যায় ৷ সকলে এসে ওই চিকিত্সকের চেম্বারে হামলা করে ৷ স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে একযোগে ওই চিকিত্সককে ধরে পেটাতে শুরু করে ৷ পরে ঘাটাল থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে শ্রীকান্তকে উদ্ধার করে ৷ তাকে জেরা করে পুরো বিষয়টি জানতে পারার পরেই রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ বুধবার তাকে তোলা হয় ঘাটাল মহকুমা আদালতে ৷ সেখানে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷