সংক্ষিপ্ত

  • ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকবার্তা পেয়েই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি
  •   ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে সতর্কবার্তা জারি পূর্ব মেদিনীপুরে
  • সমুদ্র এলাকায় মাইকিং করে চলছে সতর্কীকরণের কাজ
  • ১২ বোট নিয়ে ইতিমধ্য়েই রওনা দিয়েছে বিপর্যয় মেকাবিলা দল
  •  

ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকবার্তা পেয়েই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূল এলাকাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রামনগর ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্র সৈকত এলাকায় মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে দিঘা থানা এবং দিঘা মোহনা থানা। 

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ১৭ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় আমফান। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে রাজ্যবাসী। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত সমুদ্র উপকূলের এলাকাবাসী। সৈকত এলাকায় গ্রামবাসীদের মাইকিং করে সতর্ক করছে প্রসাসন। যেসব মৎস্যজীবী সমুদ্র লাগোয়া ট্রলার বা মাছ ধরার নৌকো রয়েছে তাদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। আপাতত ১৫  জুন পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 

ইতিমধ্যে রবিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল ইমার্জেন্সি ফোর্সের ১২ টি বোট কলকাতা থেকে দিঘার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। রওনা দিয়েছে এনডিআরএফ এর ৩২ জন জওয়ান। সেই সঙ্গে কাঁথি মহকুমার আটটি ব্লকের বারোটি গাছ কাটার মেশিন পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে । প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ৬৩ জন লুলিয়া কুড়িজন আপৎকালীন  মিত্র এবং ১০জন সিভিল ডিফেন্সের লোককে। 

জেলাশাসক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, সমস্ত রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে আমফন ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলার জন্য। এই মুহূর্তে আমফান ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলাদেশের দিকে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় তার প্রভাব যথেষ্ট পড়তে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। তাই কোনও ধরনের ফঁক ফোঁকর রাখতে চাইছে না প্রশাসন।