সংক্ষিপ্ত
- নতুন করে রাজনৈতিক সংঘর্ষ কেশপুর
- দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
- বোমা, গুলিতে উত্তপ্ত গোটা এলাকা
- সকাল থেকে পুলিশের টহল এলাকা জুড়ে
শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-বৃহস্পতিবার রাতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। করোনা আবহের মধ্য়ে নতুন করে খবরের শিরোনামে উঠল এই কেশপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষের কবলে পড়ে মৃত্যু হল এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের। আরও এক ব্যক্তির মত্যু হয়েছে। রাতে সংঘর্ষে ঘটনার পর থেকেই সকাল থেকে পুলিশের টহল এলাকাজুড়ে। চলছে পুলিশের কড়া নজরদারি। এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনে বাধা, অশোকনগরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিজেপির
জানাগেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কেশপুর থানা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে দামোদর গ্রামে। বেশ কয়েকদিন ধরেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। তীব্র চাপানউতোর ছিল বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্য়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধের পর থেকে আচমকাই দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে উত্তেজনা শুরু হয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই দুপক্ষের মধ্য়ে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়েছিল। উত্তপ্ত পরিস্থিতি বোঝার আগেই দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে আক্রান্ত হন বেশ কয়েকটি পরিবার। সেই সময় বাড়ির ভিতর চোদ্দ বছরের ছেলে শেখ আজাহারকে নিয়ে খেতে বসে ছিলেন শুকরত আলি। ঠিক সেই সময় বাড়ির ভিতর কেউ বোমা ফেলে দেয়। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শেখ আজাহার। গুরুতর অবস্থায় শুকরত আলি তাঁর ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ছাত্রের।
আরও পড়ুন-বচসার জেরে প্রকাশ্য় রাস্তায় গাড়ি চালককে 'কুপিয়ে খুন', মগরাহাটে উত্তেজনা
অন্যদিকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর বিয়াল্লিশের মহম্মদ নাসিম নামে এক ব্যক্তির। মুম্বইয়ে কাজ করতেন তিনি। লকডাউনের সময় বাড়ি ফিরেছিলেন। সংঘর্ষের সময় পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তাঁর মাথায় গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাসিমের। শুধু তাই নয়, এলাকায় দফায় দফায় বোমাবাজি ও গুলির জেরে বেশ কয়েকটি পরিবারের কয়েকজন জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা বিজেপির লোকজন বলে দাবি মৃতের দিদি জুলেখা বিবির।
আরও পড়ুন-মমতার সরকারেরর লকডাউনকে তুলোধনা, রাজ্যসভায় আক্রমণাত্মক রাজীব চন্দ্রশেখর
রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কেশপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাতে ঘটনার পর এলাকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে। ঘটনাটি পারিবারিক সংঘর্ষ বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী।