সংক্ষিপ্ত

  • যাকে বলে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা
  • সাপে কাটা রোগী আর করোনার থাবা
  • সাপে কাটা রোগীর সফল ডায়ালিসিস
  • করোনা আবহে অসাধ্য সাধন হাসপাতালের

শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-একেই বলে মড়ার উর খাড়ার ঘা। মহিলার শরীরে বাসা বেঁধে করোনা ভাইরাস। তার উপর সাপে কাটা রোগী। দুইয়ের জাঁতা কলে প্রাণ যেতে বসেছিল বছর পঁয়ত্রিশের মহিলার। অবশেষে সফল ডায়ালিসিস করে অসাধ্য সাধন করলেন শালবনী কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসকরা। দীর্ঘদিন বদনাম থাকার পর চিকিৎসক ও নার্সদের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল।

আরও পড়ুন-কলকাতায় বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, আগামী পাঁচ দিনে ভারী বৃষ্টিতে ভাসতে পারে উত্তরবঙ্গ

জানাগেছে, দু সপ্তাহ আগে সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সরস্বতী কোলে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই অবস্থায় বুধবার তাঁকে শালবনী কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতী হতে থাকে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকায় প্রভাব পড়ে কিডনির উপর। অগত্যা তাঁর ডায়ালিসিস ছাড়া অন্য কোনও উপায় দেখছিলেন না চিকিৎসকরা। রোগীর প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই ডায়ালিসিস করেন। সেই চেষ্টায় অসাধ্য সাধন করলেন চিকিৎসকরা। এখন পুরোপুরি বিপন্মুক্ত ওই সাপে কাটা রোগী।

আরও পড়ুন-গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে চুরির অভিযোগ, বেধড়ক গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা

শালবনী করোনা হাসপাতালের টিমকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে অন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও। রোগী এখন বিপদন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন শালবনী হাসপাতালের সুপার নবকুমার দাস।

চন্দ্রকোনা থানার লালগড়ের বাসিন্দা সরস্বতী কোলে। জঙ্গলে পাতা ও কাঠ কুড়িয়ে মাথায় করে আনছিলেন। সেই সময় মাথায় থাকা পাতার বোঝা থেকে সাপ বেরিয়ে নাকে ছোবল দেয়। চিৎকার করে সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন সরস্বতী। পিছনে তাঁর স্বামী তাঁকে উদ্ধার করে প্রথম চন্দ্রকোনার স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে     মেদিনীপুর মেডিক্য়ালে স্থানান্তর করা হয়।