সংক্ষিপ্ত

  • ইংরেজ আমলে ট্রেন চলাচল করত কোশি রেল সেতুতে
  • নেপালে ভূমিকম্পের জেরে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয় সেতুটি
  • তারপর নতুন রেল সেতুর জন্য ৮৫ বছরের অপেক্ষা
  • মিটার গেজ থেকে ব্রড গেজে সম্প্রসারিত কোশি রেল মহাসেতু

দীর্ঘ ৮৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে স্বপ্নের কোশি মহারেল সেতু উপহার পাচ্ছেন বিহারের বাসিন্দারা। করোনা আবহের মধ্য়েও বন্ধ হয়নি ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণের কাজ। মহামারিতেও ভারত সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। অবশেষে আগামী শুক্রবার ঐতিহাসিক কোশি মহাসেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

আরও পড়ুন-হস্টেল থেকে ডাক্তারি ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কলকাতায় ছাত্রের মৃত্যুতে ঘণীভূত রহস্য

১৮ সেপ্টেম্বর বেলা বারোটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা আবহের মধ্য়ে দেশবাসীকে উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এই রেল সেতু চালু হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে বিহারের। আগে মিটার গেজে ছিল এই রেলপথটি। সেটি সম্প্রসারিত করে ব্রড গেজে রুপান্তরিত করেছে ভারতীয় রেলমন্ত্রক। এর ফলে নেপালের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। এই ঐতিহাসিক প্রকল্প ছাড়াও বিহারে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে আরও প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।  

আরও পড়ুন- শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ, ২০ দিন পর ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার

১৮৮৭ সালে ইংরেজ আমলে মিটার গেজ রেলপথ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কোশি রেল মহাসেতু। তারপর, ১৯৩৪ সালে নেপালে ভূমিকম্প ও বন্যার জেরে পুরোপুরি ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছিল এই সেতুটি। তারপর কেটে গিয়েছে ৮৫ বছর। স্বাধীন দেশে অনেক সরকার এসেছে। অনেক সরকারের বদল হয়েছে। কিন্তু কোশি রেল মহাসেতু নিয়ে আশা দেখায়নি কোনও সরকার। ২০০৩ সালে বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে এই কোশি রেল মহাসেতুর শিলান্যাস হয়। এতদিন ধরে সেতুর নির্মাণকাজ চলার পর ফের বিজেপি সরকার বিহারের স্বপ্নপূরণ করছে। 

আরও পড়ুন-গঙ্গাসাগর বাজার এলাকায় বিধ্বংসী আগুন ঘিরে রহস্য, ভস্মীভূত ১০টি দোকান

ঐতিহাসিক কোশি রেল মহাসেতু লম্বায় ১.৯ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫১৬ কোটি টাকা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করোনাভাইরাস মহামারির আবহেও রেলের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজে যোগ দিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরাও। এই রেলপথ ভারত-নেপাল সীমান্ত অবস্থিত। এর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত, কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বইয়ের যোগাযোগ স্থাপন আরও উন্নত হবে। বিহার বিধানসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।