সংক্ষিপ্ত
- বাড়িতে স্বামীর রহস্যমৃত্যু
- প্রতিবেশীদের রোষের মুখে স্ত্রী
- মারধর করে আটকে রাখা হল মন্দিরে
- মধ্যযুগীয় বর্বরতা সাক্ষী কোলাঘাট
স্বামীকে খুন করেছেন! স্রেফ সন্দেহে বশেই এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর মাথার চুল কেটে আটকে রাখলেন মন্দিরে। রেহাই পেলেন না মৃতের শ্বশুরবাড়ি লোকেরাও। লকডাউনের মাঝেই ধুন্ধুমারকাণ্ড পূর্ব মেদিনীপুর কোলাঘাটে।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারের পর 'নিখোঁজ', অবশেষে জামিন পেলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্ধ্যোপাধ্যায়
মৃতের নাম সুব্রত দাস। বাড়ি, কোলাঘাটের কাউরচণ্ডী গ্রামে। এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ব্যবসা করতেন ফুল ও সবজির। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, স্ত্রী সুপর্ণার সঙ্গে একেবারেই বনিবনা ছিল না সুব্রতের। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত। মাঝে একবার মীমাংসাও করে দিয়েছিলেন প্রতিবেশী ও স্থানীয় গ্রাম সংসদের সদস্য বীজেন সামন্ত। কিন্তু শান্তি আর ফেরেনি সংসারে। প্রতিবেশীদের দাবি, বুধবার রাতে ওই দম্পতি ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিল না। সেই সুযোগে স্বামীকে খুন করে সুপর্ণা এবং দেহ ঘরের কড়িকাঠ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, আত্মহত্যার খরব জানিয়ে অভিযুক্ত মহিলা নিজেই থানায় খবর দেন। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: লকডাউনের শহরে নয়া আতঙ্ক, কন্টেনমেন্ট জোনের ব্যারিকেড ভাঙল হাতির দল
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। স্রেফ মারধর করাই নয়, মাথায় চুল কেটে মৃতের স্ত্রী এলাকার একটি মন্দিরে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। শিকেয় উঠে লকডাউনও।