সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের  একটি মসজিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মৃত্য়ু হয়েছে, জখম হয়েছে ২০০ জনেরও বেশি। শনিবার দায় স্বীকার করে এমনটাই জানিয়েছে  ইসলামিক স্টেট।

 

পাকিস্তানে মসজিতে বিস্ফোরণের (Bomb blast in Pakistan mosque) দায় স্বীকার করে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট (Islamic State)। উল্লেখ্য,পাকিস্থানের  একটি মসজিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মৃত্য়ু হয়েছে। জখম হয়েছে ২০০ জনেরও বেশি।পাকিস্তানের পেশোয়ারে ওই মসজিতে নমাজ পড়াকালীনই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। শনিবার দায় স্বীকার করে এমনটাই জানিয়েছে  ইসলামিক স্টেট।

শুক্রবার দুই সন্ত্রাসবাদী আচমকাই পেশোয়ারের মসজিতের কাছে পুলিশ অফিসারদের লক্ষ্য। করে গুলি চালায়। তারপর তাঁদের একজন মসজিতে ঢুকে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই বিস্ফোরণে প্রায় ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারী এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পেশোয়ারের কিসা খাওয়ানি বাজার এলাকার একটি জামিয়া মসজিদে তখন মুসল্লিরা জুমার নমাজ পড়া হচ্ছিল। আর ঠিক সময়েই বিস্ফোরণ ঘটে। ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ অফিসার পেশোয়ার ইজাজ আহসান বলেছেন, ওই দুই হামলাকারী মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করে এবং টহলরত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তিনি বলেন, এই ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত এবং অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ইউএন সেক্রেটারি আন্তিনিও গুতেরস এই বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা করেছেন।দাবি করা হয়েছে, এটি একটি  আত্মঘাতী হামলা। এই ঘটনায় পেশোয়ারে হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন  ইউএন চিফ। শুক্রবার নমাজে যারা ছিলেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি শুক্রবার  মসজিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছে পাকিস্তানের মানবধিকার কমিশনও।

আরও পড়ুন, 'বিমানে মৃতদেহ আনতে জায়গা বেশি লাগে', ইউক্রেনে ভারতীয় ছাত্রের মৃ্ত্যুতে বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক

বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধারকারী দল। জখমদের উদ্ধার করে লেডি রিডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।জখমদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। এমনকি তাঁরা নিজেদের গাড়ি বাইকে করে জখমদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। এদিকে জখমদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘিরে দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহের কাজও শুরু করে দিয়েছে তাঁরা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাশাপাশি জখমদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদ খান বলেন,'আমি মসজিদে ঢোকার আগে একজন ব্যক্তিকে দুই পুলিশ কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখেছি। কয়েক সেকেন্ড পরেই আমি একটা বড় বিস্ফোরণ শুনতে পাই।'এই বিস্ফোরণ পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে রাওয়ালপিণ্ডিতে একটি ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনেই হয়। উল্লেখ্য, যারা নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে প্রায় ২৫ বছর পাকিস্তান সফর করেনি।

আরও পড়ুন, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে গুলিবিদ্ধ আরও ১ ভারতীয় ছাত্র, কিয়েভের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন