আগে জানিয়েছিল সে স্বেচ্ছার ইসলাম গ্রহণ করেছে।এখন সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করেছে এক পাক হিন্দু নাবালিকা।এবার সে পড়েছে কট্টরপন্থীদের রোষাণলে।নাবালিকার মৃত্যুদণ্ডের দাবি উঠেছে পাকিস্তানে। 

মাস কয়েক আগেই তার ইসলাম গ্রহণ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানে ব্যাপক হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। কারণ আদালতে দাঁড়িয়ে পরিবারের দাবি উড়িয়ে সে বলেছিল, সে স্বেচ্ছার ইসলাম গ্রহণ করেছে। কিন্তু, সেই মেহক কুমারীই সম্প্রতি আদালতে তার আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করে জানিয়েছে তাঁকে ধর্মান্তকরণে বাধ্য করা হয়েছিল। তাই, ইসলামকে অবমাননার দায়ে এই নাবালিকার মৃত্যুদণ্ডের দাবি তুলেছেন পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা মুসলিমরা।

এর আগে মেহক কুমারীর বাবা-মা অভিযোগ করেছিলেন তাঁদের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে আলি রাজা নামে এক ব্যক্তি। তারপর তাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে সে। এই ঘটনা নিয়ে পাক সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। তারা অভিযোগ করেছিল, দেশব্যাপী জোর করে ধর্মান্তরিত করার পিছনে সরকারি কর্মকর্তা এবং মুসলিম ধর্মগুরুদের মধ্যে যোগসাজস রয়েছে।

Scroll to load tweet…

কিন্তু, আদালতে মেহক কুমারী আলি রাজা-কে স্বেচ্ছায় বিয়ে করার কথা স্বীকার করায় তাদের সেই ক্ষোভের মুখে ছাই চাপা পড়েছিল। ইসলাম গ্রহণের পিছনেও কোনও বাহ্যিক চাপ ছিল না বলেই জানিয়েছিল মেহক। কিন্তু এখন সে তার আগের বয়ান অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে জানিয়েছে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ইসলাম ধর্ম সে মানে না। এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে দায়রা আদালত। এরপরই পাকিস্তানের কট্টরপন্থী মুসলিমদের রোষাণলে পড়েছে সে।

Scroll to load tweet…

ইসলামের অবমাননার অভিযোগ এনে তারা এই নাবালিকাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা দায়রা আদালতের তদন্ত ও কার্যক্রম প্রত্যাখ্যান করে ইতিমধ্যেই তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। মনের মতো বিচার না পেলে এরপর প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট এবং শরিয়া আদালতেও যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা। মেহক-কে দায়রা আদালত সিন্ধ প্রদেশের লারকানা জেলার স্থানীয় দার-উল-আমন'এ পাঠিয়েছে। পরবর্তী শুনানি ১৮ ফেব্রুয়ারি।

এদিকে, এই ঘটনা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষে আরও এক বড় ধাক্কা বলেই মনে করচেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। ভারতে মুসলমান ও কাশ্মীরিদের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বিভিন্ন বিশ্ব গোষ্ঠীতে নিয়মিতভাবে প্রচার করে চলেছেন, সেই সময় তাঁর নিজের দেশেই সংখ্যালঘুদের নিয়মিতভাবে নির্যাতনের এই ছবি মোটেই তাঁকে সুবিধাজনক জায়গা দেবে না। পাকিস্তান সংখ্যালঘুদের জন্য কখনই স্বর্গরাজ্য ছিল না, তবে ইমরান খানের দল পিটিআই ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন ও আক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে বলেই দেখা যাচ্ছে।