সংক্ষিপ্ত

  • সম্প্রতি সুইডেনে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় পাক সাংবাদিকের
  • বাড়ির সামনেই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন এক পাস্তুন নেতা
  • এই জোড়া খুনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে বেকায়দায় পাকিস্তান
  • পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

গত ২৩ এপ্রিল সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের ৭০ কিলোমিটার উত্তরে ফাইরিস নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মৃতদেহ। পরে সুইডিশ পুলিশ জানতে পারে দেহটি পাকিস্তানি সাংবাদিক সাজিদ হুসেনের। যিনি ২ মার্চ থেকে নিরুদ্দেশ ছিলেন। 

আরও পড়ুন: করোনা ক্লান্ত বিশ্বে ফের আশার আলো, সবার আগে ভ্যাকসিন আনার দাবি করছে ইতালি

জানা যায়, ৩৯ বছর বয়সী সাজিদ পকিস্তানের বালোচিস্তানের মানুষ। তিনি বালোচিস্তান টাইমস নামের একটি অনলাইন ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। ২০১৫ থেকে এই পত্রিকা শুরু করেন তিনি। হুসেন পাক সরকারের প্রকাশ্য সমালোচক ছিলেন এবং ২০১২ সালে তিনি সে দেশ থেকে পালিয়ে যান। তার আগে মানবাধিকার লঙ্ঘন, অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়ে রিপোর্টিং করার জন্য তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: মাথার দাম ছিল ১২ লক্ষ টাকা, এনকাউন্টারে খতম হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু

২০১৮ সালে সুইডেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন হুসেন। এই পাক সাংবাদিকের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এবার বেকায়দায় ইমরান প্রশাসন। ইতিমধ্যে ইউরোপিয় পার্লামেন্ট বিষয়টি নিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাল। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ইউরোপিয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনকে চিঠি লিখেছেন চার সাংসদ - হেলমুট গিউকিং, পিটার লুন্ডগ্রেন, রিসার্ড জজার্নেক্কি, বোগদান রোজনকা। এই চিঠিতে স্পষ্টতই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। 

 

 

সাংবাদিক সাজিদ হুসেনের রহস্যজনক মৃত্যুর পাশাপাশি পুস্তন নেতা আরিফ ওয়াজিরের নির্মম হত্যাকণ্ড নিয়েও সরহ হয়েছেন ইউরোপিয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। পুস্তন তাহাফুজ আন্দোলনের নেতা ওয়াজিরকে গত পয়লা মে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে ওয়ানায় তাঁর বাড়ির সামনেই হত্যা করে কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী। 

ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাংসদদের পক্ষ থেকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, " উইরোপিয় পার্লামেন্টের এমপি হিসাবে আমরা চাই দুই মানবাধিকার কর্মীর নির্মম খুনের ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক ইউরোপিয় কমিশন। এই দুটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগ রয়েছে।" ইউরোপিয় ইউনিয়ের সাংসদরা এতেই থামেননি। বালোচ আন্দোলনকারীদের উপর হওয়া হামলারও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা।