সংক্ষিপ্ত

 

  • আবারও ধাক্কা খেল ইমরান খানের প্রশাসন
  • এইএটিএফ এর ধূসর তালিকায় পাকিস্তান 
  • ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে রায় 
  • তিনটি দেশে অসন্তুষ্ট ইসলামাবাদের ভূমিকায় 

সময়টা বড়ই খারাপ যাচ্ছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ঘরে-বাইরে দুই দিকেই সংকটে পড়েছে বিশ্বকাপ জয়ী পাক ক্রিকেট দলের ক্যাপটেন। শুক্রবার ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টার্ক ফোর্সের দেওয়া রায় অনুযায়ী আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পাকিস্তান বিশ্ব সন্ত্রাসের অর্থায়নের তদারকির ধূসর তালিকাভুক্ত থাকবে। অর্থাৎ ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাঙ্ক, এশিয়া  উন্নয়ন ব্যাঙ্ক  ইউরোপীয় ইউনিয়নয়ের থেকে আর্থিক সাহায্য পাবে না বললেই চলে। আর্থিক সাহায্যে পেলেও তার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে ইমরান খানকে। এই সিদ্ধান্ত  রাজনাতির ময়দানে ইমরানের সংকট আরও বাড়িয়ে তুলবে। 

এর আগে জুন মাসে এফএটিএফএর তিন দিনের বৈঠক হয়েছিল। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই বৈঠকে করোনাভাইরাসে সংক্রান্ত মহামারির কারণে সমস্ত পরিস্থিতি মূল্যায়নের কাজ স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তিন মাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই সেই সময় পাকিস্তান কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিল। তবে বর্তমানে এফএটিএফএর সিদ্ধান্ত ইমরান খানের মাথার ওপর আবার খাড়া ঝুলতে শুরু করল। 

আন্তর্জাতিক সংস্থার এই সিদ্ধান্তে রীতিমত খুশির হাওয়া ভারতে। দিল্লীর কেন্দ্রীয় সরকারের এই উর্ধ্বতন কর্মী জানিয়েছেন, ভারত আশা করেছিল পাকিস্তানকে ধুরস তালিকায় রাখা হয়েছ। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, মাসুদ আহাজাহার, হাফিজ সইদদের মদত করার প্রামান্য নথি সংস্থায় পেশ করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি আর আফগানিস্তান পাকিস্তানের ভূমিকায় ভূমিকায় রীতিমত অসন্তুষ্ট ছিল। প্রয়োজনীয় শর্ত পুরণ করতে পাকিস্তানকে আরও চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে। একটি সূত্র বলছে ২৭টি শর্তের মধ্যে ২১ শর্ত পুরণ করেছে। তবে পাকিস্তানের পাশে রয়েছে চিন, তুরস্ক  আর মালয়েশিয়া। ধুসর তালিকায় থেকে বার হওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ৩৯টি দেশের মধ্যে  ১২টি দেশের সমর্থন।  এফএটিএফ আন্তর্জাতিক অর্থব্।বস্থার অখণ্ডার জন্য অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি হয়েছিল। আর এই সংস্থার অভিযোগ পাকিস্তান একাধিক জঙ্গি সংগঠনকে অর্থ সাহায্য করে।