সংক্ষিপ্ত
বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনীতির যে হতোদ্দম দশা তা মোকাবিলায় এবার পাক-সরকার গ্রহণ করলো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি।এবার মানি লন্ডারিং বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাক-সরকার কোনোরকম কোনো অর্থসাহায্য করবে না ।
ফাঁড়া কাটতে চলেছে পাকিস্তানের। বন্যা- বিপর্যয় পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার বিদেশ থেকে অর্থসাহায্য পাবে পাকিস্তান। বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনীতির যে হতোদ্দম দশা , তা মোকাবিলায় এবার পাক-সরকার গ্রহণ করলো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি। মানি লন্ডারিং বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থ সাহায্যের জন্য পাকিস্তান বিগত বেশ কিছু বছরগুলি ধরে ছিল ধূসর তালিকার শীর্ষে। কিন্তু এবার অর্থনীতি শক্তিশালী করতেই তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে সন্ত্রাসবাদী কোনোরকম কোনো কার্যকলাপে আর তারা অর্থসাহায্য করবে না। এমনকি দেশের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যে কৌশলগুলি এতদিন পাকিস্তানের নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করতেন বিশেষজ্ঞমহল , সেইরকম ব্যবস্থাই এবার নিতে দেখা যাবে পাকিস্তানকে। ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি এবার তারা নজর দেবেন প্রযুক্তিগত ত্রুটিগুলির সমাধানেও। ২০১৮ র জুনে ও ২০২১ এর জুনে এফএটিএফ পাক-সরকারের যে ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করেছিল এবার সেই ত্রুতিপূরণেই তৎপর হবে পাকিস্তান।
এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করার পরই গ্লোবাল মানি লন্ডারিং ওয়াচডগ ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) শুক্রবার পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়। পাকিস্তান "এএমএল/সিএফটি" ব্যবস্থা খারিজের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতির যে অঙ্গিকার নিয়েছে তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।
পাকিস্তান তার অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং এবং কাউন্টার-টেররিস্ট ফাইন্যান্সিং ব্যবস্থা পুরোপুরি লোপ করার উপর নজরদারি শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই । কৌশলগত ঘাটতি মোকাবিলায় এখনো পর্যন্ত মোট ৩৪ টি কার্যকরী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেন পাক-সরকার।তাই ওয়াচডগ শুক্রবার তার একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানায় “পাকিস্তান এবং এফএটিএফ-এর যৌথ পর্যবেক্ষণের অধীনে এবার পাক- সরকার তার এএমএল/সিএফটি সিস্টেমটিকে পুরোপুরি বর্জন করবে এবং এপিজির সাথে কাজ ভবিষ্যতে চালিয়ে যাবে,”
আরও পড়ুন বাজারে নতুন আসা এন্ড্রোয়েড কোম্পানিগুলি ,এবার যোগ্যতার ভিত্তিতেই প্রতিযোগিতা করতে পারবে গুগলের সঙ্গে
আরও পড়ুন ইমরানের 'ভাগ্য বিপর্যয়', তোষাগারে হেরাফেরির অভিযোগে আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন খান সাহেব