সংক্ষিপ্ত

তোশাখানার মামলায় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইমরান খান গেলেন ইসমালাবাদ আদালতে। সোমবার এই মামলার শুনানি হবে। 
 

দমে যাওয়ার পাত্র নন ইমরান খান। ৭০ বছর বয়সী প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবার সরাসরি চ্যালেজ্ঞ জানালে দেশের নির্বাচন কমিশনকে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে জাতীয় পরিষদের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছিল। পাঁচ বছরের জন্য এই রায় বলবত থাকবে বলেও জানিয়েছিল। 

নির্বাচন কমিশনের এই রায়ের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ইমরান খান। তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার আলি জাফর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেছেন। শনিবার জাফরের দায়ের করা আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। এই মামলার শুনানি হবে আগামী শনিবার। অন্যদিকে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ইমরান খানকে শংসাপত্র পাওয়া মিথ্যাবাদী বলেছেন। 

ক্ষমতাসীন জোট সরকারের আইনপ্রণেতারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অগস্টে একটি মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রীয় ভাণ্ডার তোশাখানা থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে কেনা উপহার বিক্রি থেকে ইমরান খান কী পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন বা আয় প্রকাশ করতে ব্যার্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এই মামলার দীর্ঘ শুনানির পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে 'ইমরান খান আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন। ' ইমরান খানের আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

ইমরান খান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের মসনদে বসেছিলেন। সরকারি সফরের সময় তিনি ধনী আবর শাসকদের কাছ থেকে প্রচুর দামি দামি উপহার পেয়েছিলেন। যা জমা ছিল পাকিস্তানের তোশাখানায়। পরবর্তীকালে তিনি পাকিস্তানের তোশাখানার আইনকানুন না মেনেই সেইসব জিনিস কেনেন আর তা মোটা লাভের অঙ্কে বিক্রি করেন। 

নির্বাচন কমিশনে ইমরান খানের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী ২১.৫৬ মিলিয়ন টাকা প্রদানের পরে তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে উপগারগুলি সংগ্রহ করেছিলেন। আর সেগুলি তিনি বিক্রি করেছিলেন ৫৮ বিলিয়ন টাকায়। উপহারগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল একটি গ্রাফ ঘড়ি, এক জোড়া কাফলিঙ্ক, একটি দামি কলম, একটি আংটি ও চারটি রোলেক্স ঘড়ি।

পঞ্জাবের তিনটি প্রগেশে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবমিলিয়ে ১১টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির প্রধান তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আটটি জাতীয় বিধানসভায় আসনের মধ্যে সাতটির প্রার্থী ছিলেন। আর তিনি জিতে ছিলেন ৬টি আসনে। 

ইমরান আগেই ঘোষণা করেছিলেন এই উপনির্বাচনের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও তাঁর জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করতে চান। পাশাপাশি সরকার পক্ষকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন ইমরান খান। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন এই উপনির্বাচন তাঁর জনপ্রিয়তার ওপর একটি গণভোট। আর তাতে তিনি সফল হবেন বলেও মনে করছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানে পঞ্জাব প্রদেশে এই উপনির্বাচন এমন সময় হয়েছিল যখন গোটা দেশে আর্থিক সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি বন্যায় গোটা গেশ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বন্যা পাকিস্তানের প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করেছে।  

সাপের কপালে চুমু! কিং কোবরাকে আদরের রুদ্ধশ্বাস ভিডিওটি দেখুন

Netaji death mystery: গুমনামি বাবাই কি আসলে নেতাজী? CFL ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ না করায় উঠছে প্রশ্ন

মহিলাকে ঝোপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ১০ জনের বিরুদ্ধে, আক্রান্ত প্রেমিকও