সংক্ষিপ্ত

নিজের স্ত্রীকে সে বারবার ঠেলে দিত বন্ধুদের বিছানায়। পতিতাবৃত্তিতে রাজি না হতেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে মরতে হল ২৫ বছরের গৃহবধূকে।

নিজের স্ত্রীকে বারবার ঠেলে দিত বন্ধুদের বিছানায়। প্রতিবাদ করতেই চরম অত্যাচারের শিকার হলেন বর্বরোচিত বললেও কম বলা হয়। প্রথমে গণধর্ষণ, তারপর একের পর এক ছুরির আঘাত, আর তারপর ঢেলে দেওয়া হয়েছিল অ্যাসিড। এইভাবেই ভয়ঙ্কর অত্য়াচার সহ্য করে মরতে হয়েছে ২৫ বছরের এক পাকিস্তানি গৃহবধূকে। আর এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল মৃতার স্বামী এবং তার দুই বন্ধুর দিকে। করাচির কায়দাবাদ থানা এলাকার এক আবর্জনা ফেলার জাগা থেকে ওই মহিলার পচা-গলা মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তারপরই তদন্তে এই ভয়াবহ অপরাধের কাহিনি বেরিয়ে এসেছে। গ্রেফতার হয়েছে মহিলার স্বামী আসিফ ও তার দুই বন্ধু।

বর্বরোচিত বললেও কম বলা হয়। প্রথমে গণধর্ষণ, তারপর একের পর এক ছুরির আঘাত, আর তারপর ঢেলে দেওয়া হয়েছিল অ্যাসিড। এইভাবেই ভয়ঙ্কর অত্য়াচার সহ্য করে মরতে হয়েছে ২৫ বছরের এক পাকিস্তানি গৃহবধূকে। আর এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল মৃতার স্বামী এবং তার দুই বন্ধুর দিকে। করাচির কায়দাবাদ থানা এলাকার এক আবর্জনা ফেলার জাগা থেকে ওই মহিলার পচা-গলা মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তারপরই তদন্তে এই ভয়াবহ অপরাধের কাহিনি বেরিয়ে এসেছে। গ্রেফতার হয়েছে মহিলার স্বামী আসিফ ও তার দুই বন্ধু।

করাচির এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটে ২৩ জুন মধ্যরাত থেকে ২৪ জুন ভোরের মধ্যে। সেই রাতে আসিফ একেবারে বেহেড মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিল। সঙ্গে ছিল তার দুই বন্ধু, তারাও দুজনেই মদের নেশায় চুড়। বাড়ি ঢুকেই আসিফ, তার স্ত্রীকে বলেছিল তার বন্ধুদের 'খুশি' করে দিতে। তার স্ত্রী অস্বীকার করতেই, আসিফ ও বাকি দুজন তার উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। তিনজনে পালা করে তাকে ধর্ষণ করে। তবে সেখানেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। এরপর ওই মহিলার শরীরের নানা জায়গায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে তারা। সবশেষে তাঁর মুখে অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছিল।

আরও পড়ুন - শ্লীলতাহানির পর কিশোরীকে ফেলে দেওয়া হল দোতলা থেকে, শিউরে ওঠা ঘটনা ধরা পড়ল CCTV'তে

আরও পড়ুন - নগ্ন করে ঘোরানো হল গ্রাম, তারপর ভিডিও ভাইরাল - ফের বাংলার বুকে যৌন হেনস্থা আদিবাসী মহিলার

আরও পড়ুন - ভাই-বোনদের মিলিত বয়স ১০৪২ বছর, বিস্ময়কর বিশ্বরেকর্ড গড়ল এই পাক বংশোদ্ভূত পরিবার

এই ভয়ঙ্কর অত্যাচার চলাকালীনই মহিলার মৃত্যু হয়। এরপর, ওই তিন দুষ্কৃতী মিলে তাঁর মৃতদেহ কায়দাবাদ থানা এলাকার এক নির্জন জায়গায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে এমন নয়, যে মদের নেশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এমনটা করেছে আসিফ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সে প্রথম থেকেই তার স্ত্রীকে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করত এবং একইসঙ্গে চলত যারপরনাই নির্যাতন।

আসিফের দাবি তার স্ত্রীকে প্রথমে একজন ট্যাক্সি চালক অপহরণ করেছিল। পরে সেই ট্য়াক্সিচালকের স্ত্রী, আসিফের মায়ের কাছে তাঁকে ২০,০০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। এরপর আসিফের সঙ্গেই তাঁর বিয়ে দিয়েছিলেন আসিফের মা। আর বিয়ের পরই স্ত্রীকে পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দিয়েছিল আসিফ। তবে, কোনও অভাব বা অন্য কিছুর জন্য আসিফ এই কাজ করত না। সম্ভবত এটা তার এক বিকৃত স্বভাব। মৃতা মহিলা তার দ্বিতীয়া স্ত্রী। প্রথমজনকেও সে তার বন্ধুদের সঙ্গে সহবাস করতে বাধ্য করত বলে দাবি করা হয়েছে পাক সংবাদপত্রগুলিতে। একই কারণেই আসিফের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেছিলেন তার প্রথম স্ত্রী।