সংক্ষিপ্ত

একই দিনে শপথ পাঠ করালেন মমতা ও ইমরান। কোনও ভাবেই ধর্মান্ধদের জিততে না দেওয়ার শপথ নিলেন ইমরান ও তাঁর মন্ত্রীরা। বললেন জঙ্গিদের হাতে দেশকে পণবন্দি হতে দেবেন না।

 

সোমবার কলকাতার রোডরোডে নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল শুরুর আগে দলের নেতাা কর্মীদের শপথবাক্য পাঠ করান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানে তাঁর মন্ত্রী ও সরকারের শীর্ষ থাকা ব্যক্তিদের শপথ নেওয়ালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তবে এটা নেহাতই কাকতালীয় ঘটনা। ইমরান-রা শপথ নিলেন কোনও ভাবেই ধর্মান্ধদের জিততে দেবেন না। দেশকে তাদের হাতে পণবন্দি করতে দেবেন না।

২০১৪-র ১৬ ডিসেম্বর, পাক প্যারামিলিটারি ফ্রন্টিয়ার কর্পস-এর ইউনিফর্ম পরে ৮ থেকে ১০ জন আত্মঘাতী জঙ্গি পেশোয়ার আর্মি পাবলিক স্কুলে ঢুকে একের পর এক ঘরে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। ঘটনায় মোট ১৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারমধ্যে শিক্ষার্থীই ছিল ১৩২ জন। এই ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে শিশুদের উপর হওয়া অন্যতম ভয়াবহ আক্রমণ হিসেবে পরিচিত।

পরে, পাকিস্তান এই জঘন্য হত্যালীলার ঘটনায় জড়িত চারজন আসামিকে ফাঁসি দেয়। সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর বার্তায় বলেছেন, জঙ্গিবাদী মানসিকতা তাঁদের দেশ দখল করবে, তা তিনি হতে দেবেন না। তিনি জানান, জঙ্গিদের ধর্মান্ধ দৃষ্টিভঙ্গির কাছে দেশকে পণবন্দী হতে দেওয়া হবে না বলে তাঁরা শপথ নিয়েছেন।

পাক রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি বলেছেন, 'শিক্ষার্থীরা এবং তাদের শিক্ষকদের গণহত্যার কথা দেশ কখনও ভুলবে না। সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদকে একেবারে নির্মূল করার অঙ্গিকারের মধ্য দিয়েই দিনটি স্মরণ করতে হবে'।

পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড তিনি কখনও ভুলতে পারবেন না। সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতে পাকিস্তান অনেক দূর এগিয়েছে। দাবি করেন, পাকিস্তান স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলেছে।

২০১৪ সালের এই নারকীয় হামলার দায় নেয় মোল্লা ফজলুল্লা-র নেতৃত্বাধীন নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান।