সংক্ষিপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় গণধর্ষিতা তরুণী বলেছেন, 'আমি গণধর্ষণের শিকার। গত সাত বছর ধরে ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করে আসছি। কিন্তু পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, স্থানীয় সরকার, বিচারবিভাগ আমাকে ন্যায় বিচার দিতে ব্যার্থ হয়েছে।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এক তরুণী এবার সরাসরি সাহায্য চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাত বছর ধরে নিজের ওপর গণধর্ষণের বিচার চেয়ে তিনি ক্লান্ত। তাই এবার সরাসরি প্রধাননন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানালেন তাঁকে যেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাহায্য করেন। তাঁর আবেগঘন ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গণধর্ষিতা তরুণী বলেছেন, 'আমি গণধর্ষণের শিকার। গত সাত বছর ধরে ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করে আসছি। কিন্তু পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, স্থানীয় সরকার, বিচারবিভাগ আমাকে ন্যায় বিচার দিতে ব্যার্থ হয়েছে। সেই কারণে এই ভিডিও-র মাধ্যমে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আমাকে যেন ভারতের আসার অনুমতি দেওয়া হয়।' ভিডিওতে তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁকে স্থানীয় সরকার ন্যায়বিচার দেয়নি। কিন্তু তাঁকে ও তাঁর সন্তানদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন স্থানীয় পুলিশ ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ চৌধুরী তারিক ফারুক তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের যেকোনও সময়ই খুন করে দিতে পারে। সেই কারণেই তিনি ভারতের আশ্রয় ও সুরক্ষা প্রার্থনা করছেন।
মারিয়া নামের ওই মহিলা আরও জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির জন্য সেই থেকেই তিনি আইনি লড়াই লড়ছেন। অভিযুক্তরা হলস হারুন রশিদ, মামুন রশিদ, জামান শফি, ওয়াকাস আশরাফ, সানাম হারুনসহ আরও তিন জন। প্রত্যেকেরই নাম জানিয়েছেন মহিলা।
তিনি আরও বলেছেন স্থানীয় পুলিশ ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাথে ন্যায়বিচারের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে থেকে তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধান বিচারপতির কাছেও তিনি একাধিকবার চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেই অসম্মানজনক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেনয়। বলা হয়েছিল তাঁকে ধর্ষণ করা সম্ভবন নয়, কারণ তিনি বিবাহিত। তিনি আরও জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে নারীরা বারবার নির্যাতিত হচ্ছে। কিন্তু ভয়ে কোনও মহিলাই মুখ খোলে না। কারণ অপরাধীরা রয়েছে পুলিশ ও স্থানীয় রাজনীতিবিদরে ছত্রছায়ায়।