সংক্ষিপ্ত
- পাকিস্তানে প্রচুর অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ বেজিংয়ের
- এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকেও নজর
- চিন ও পাকিস্তানের এই সমঝোতা নিয়েই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা
- কাশ্মীরের বিতর্কিত জমির অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাঁরা
পাকিস্তানে প্রচুর বিনিয়োগ করছে চিন। এখন বিশ্বে চিনের প্রকৃত বন্ধু বলতে সবার আগে রয়েছে ইমরানের দেশই। তাই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মাঝে পাকিস্তানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ইসলামাবেদর সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল বেজিং। যার জন্য চিনের তরফে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার খরচাও করা হবে বলে জানান হয়েছিল। এবার এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে পাকিস্তান ও চিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ শহর।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাসভবনে চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া চুক্তিতে স্থির হয়েছিল কোহলা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ১১২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঝিলাম নদীর উপর এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত দেওয়া হয়েছে চিনের কোহালা হাইড্রাপাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে। কিন্তু নিলম এবং ঝিলম নদীর উপর এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বেআইনি বাঁধ নির্মাণকে ঘিরে চিন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরেই একের পর এক বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়ে চলেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ শহরের মানুষজন।
নিলম-ঝিলম-কোহালা হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টের বিরুদ্ধে এবার মুজফ্ফরাবাদ শহরের বাসিন্দারা দীর্ঘ মিছিল করলেন । বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, চিন এবং পাকিস্তানের যৌথ প্রয়াসে তৈরি এই বাঁধ প্রকল্প প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করবে। বিক্ষোভকারীরা বিষয়টির প্রতি গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ‘সেভ রিভারস সেভ এজেকে হ্যাশট্যাগ’ দিয়ে নিজেদের কথা তুলে এনেছেন ট্যুইটারেও।
তাঁদের বক্তব্য, কাশ্মীরের বিতর্কিত জমির উপর কোন আইনের বলে চিন এবং পাকিস্তান বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু করছে! নদী দখল করার মধ্য দিয়ে তারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের চুক্তিও ভঙ্গ করছে বলে মনে করছেন বিক্ষোভকারীরা। এই নিয়ে তাঁরা নিয়মিত বিক্ষোভ দেখাবেন বলেই জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, যতদিন না এর কাজ বন্ধ হচ্ছে বিক্ষোভ চলতেই থাকবে।