সংক্ষিপ্ত
বিশেষজ্ঞদের কথায় সন্তানের নিরাপত্তা আর সঠিক বৃদ্ধির জন্যই বাবা-মেয়ের উচিৎ সদ্যোজাত সন্তানকে নিজেদের বিছানায় না নিয়ে শোয়া। এতে সন্তানের যেতটা উপকার হত ততই শরীরের গঠন সঠিক হয়।
জন্মের পর থেকে সন্তানকে কিছুতেই কাছ ছাড়া করতে চান না মা। বিশেষত রাতের বেলা। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় মায়েরা ভাবতেই পারেন না দুধের শিশুকে তিনি রাতের বেলায় আলাদা করে দেবেন! রাতের বেলা পরম স্নেহে মা তাঁর সন্তানের মাথায় গায়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দেন- এটাই আমাদের কাছে পরিচিত দৃষ্য। কিন্তু আপনি জানেন কী আপনার এই মাতৃস্নেন আপনারই সন্তানের জীবনে ডেকে আনতে পারে চরম বিপদ। এমনকি আপনার এই স্নেহের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে আপনার সন্তানের। তাই যদি না চান তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন চিকিৎসকদের এই কটি পরামর্শ।
বিশেষজ্ঞদের কথায় সন্তানের নিরাপত্তা আর সঠিক বৃদ্ধির জন্যই বাবা-মেয়ের উচিৎ সদ্যোজাত সন্তানকে নিজেদের বিছানায় না নিয়ে শোয়া। এতে সন্তানের যেতটা উপকার হত ততই শরীরের গঠন সঠিক হয়। সন্তানের যগি আলাদা শোয়ার ব্যবস্থা করা হয় তাহেল বাবা-মায়েরা তাগের ব্যক্তি গোপনীয়তা উপভোগ করতে পারেন। অন্তরঙ্গ হয়ে ঘুমাতে পারে। এতে দাম্পত্য যেমন দৃঢ়় হয় তেমনই সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য এটি খুবই জরুরি। এতে সন্তানও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায় বাবা-মায়ের উচিৎ তাঁদের সঙ্গে একই ঘরে সদ্যোজাত সন্তানের ঘুমানোর ব্যবস্থা করা । কিন্তু কিছুতেই এক বিছানায় নয়।
বিশেষজ্ঞদের কথায় শিশুর প্রাথমিক চাহিদা- খাবার, শিক্ষা, স্নেহ -ভালোবাসা- এই সবের জন্যই বাবা ও মায়ের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু রাতের বিছানা যদি আলাদা হয় তাহলে শিশুটি প্রথম থেকেই সাবলম্বী হতে পারে। যা তাকে আত্মনির্ভর হতে সাহায্য করে। তাঁর যদি নিজস্ব একটা বিছানা আর পড়ার টেবিল আর চেয়ার থাকে তাহলে সে নিজেকে অনেকটা স্বাধীন মনে করেছে। সেগুলির ওপর তার অধিকার জন্মায়। সেই কারণে সেগুলির যত্ন করতে শেখে - যা আগামী দিনে শিশুটিকে যে কোনও বিষয় বা জিনিস সম্পর্কে যত্নবান হতে শেখায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে জন্মগ্রহণের পর থেকেই শিশুর জন্য আলাদা বিছানা একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। চিকিৎসকরা বেশ কতগুলি কারণ বলেছেন-
১. সদ্যোজাত সন্তানের মেরুদণ্ড ও কোমর বিকাশের জন্য একটি শক্ত গদির প্রয়োজন। যা বড়দের ব্যবহৃত গদির তুলনায় অনেকটাই শক্ত। তাই সদ্যোদাতদের বিছানা আলাদা হওয়া জরুরি।
২. স্বাস্থ্যকর বিছানা- বাবা ও মায়ের বিছানা দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত। তাই তাতে আগে থেকেই অনেক জীবাণু থাকে। সেই জীবাণু কোনও কারণে সদ্যোজাতর শরীরে প্রবেশ করতে সমস্যা দেখা দেয়।
৩. নিরাপদে ঘুম- সদ্যোজাত নিরাপদে ঘুমের জন্য বাবা ও মায়ের বিছানার পাশে একটি বেবিকট রাখা জরুরি। সেই বেবিকটে সদ্যোজাতকে শোয়ানো অনেকটাই নিরাপদ। কারণ শীতকালে বাবা মায়ের বিছানায় শুলে রাতের অন্ধকারে লেপ-কম্বলে ঢাকা পড়ে সদ্যোজাত নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যা সন্তানকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যুর দিকে।
৪. সদ্যজাতর বিশেষ বিছানা- সদ্যোজাতর জন্য বিশেষ বিছানার প্রয়োজন। কারণ তাহলে সেটি রাসায়নিক মুক্ত থাকবে। সেটি অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। সেটিতে জীবাণুর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম থাকবে।
৫. সু-অভ্যাস- প্রথম থেকেই যদি সন্তানের বিছানা আলাদা করে দেওয়া হয় তাহলে তা সন্তানের সুঅভ্যাস গঠন হয়। তাতে তার আত্মবিশ্বাস বাড়ে।