সংক্ষিপ্ত
বাচ্চার (Kids) রাগ-জেদের মতো আচরণ দেখলে এর কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা কয়টি ভুল করে থাকি। যার থেকে সামান্য সমস্যা বড় আকার নেয়। জেনে নিন কী কী করা উচিত নয়।
এক এক বয়সে বাচ্চার (Kids) মধ্যে এক এক রকম পরিবর্তন দেখা যায়। কোনও বয়সে তাদের রাগ (Anger) বাড়ে, কখনও জেদ, কখনওবা হতাশা গ্রাস করে বাচ্চাকে। বাচ্চার আচরণে (Attitude) এই সকল পরিবর্তন সম্পর্কে অধিকাংশের মনেই ভুল ধারণা তৈরি হয়। এই ধারণা বসে আমরা তাদের বকাবকি করি, মারধরও করে থাকি। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বাচ্চার (Kids) এমন আচরণ দেখলে এর কারণ বোঝার চেষ্টা করুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা কয়টি ভুল করে থাকি। যার থেকে সামান্য সমস্যা বড় আকার নেয়। জেনে নিন কী কী করা উচিত হয়।
হঠাৎ, করে কদিন দেখছেন বাচ্চা খুব জেদ করছে। খেতে বললে রেগে যাচ্ছে, পড়তে বললে জেদ করছে। আপনি যাই বলছেন তাতেই বিরক্তি। এক একটা বয়সে বাচ্চার (kids) মধ্যে এমন হতেই পারে। এক্ষেত্রে তার এমন খারাপ ব্যবহারের কারণ খোঁজার চেষ্টা করে থাকেন সকলেই। এই কাজ আর করবেন না। বাচ্চা কেন এমন করছে, তা যুক্তি (Logic) দিয়ে বিচার করা কিংবা তার সঙ্গে যুক্তি দিয়ে কথা বলে কোনও লাভ নেই। এর চেয়ে বরং বুদ্ধি করে চলুন। তার মাইন্ড রিড (Mind Read) করুন। তাকে বকাবকি করবেন না। অনেক সময় অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের (Dis-orders) কারণে এমন হয়। তাই ডাক্তারি পরামর্শ নিতে পারেন।
সারাক্ষণ বাচ্চাকে (Kids) দোষ দেওয়া বন্ধ করুন। সে ভুল করেছে বলে, সেই নিয়ে সারাক্ষণ শুনিয়ে গেলেন, এমন করবেন না। এতে বাচ্চারই ক্ষতি। তার যে কোনও ভুল কীভাবে সংশোধন করা যায়, তা ভেবে দেখুন, কিন্তু বার বার তার ভুল মনে করিয়ে দেবেন না। এতে বাচ্চার (Kids) আত্মবিশ্বাস নষ্ট হবে। ভবিষ্যতে কোনও কাজ করার উৎসাহ হারাবে সে। তাই এমন স্বভাব থাকলে, তা আজই বদল করুন।
আরও পড়ুন: Parenting Tips: মা-বাবা ভুলেই নষ্ট হচ্ছে বাচ্চার ভবিষ্যত, সবার আগে বদল করুন নিজের স্বভাব
আরও পড়ুন: Parenting Tips: বাচ্চাকে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখান, জেনে নিন কী করবেন
বাচ্চা যাই ভুল করুক, আপনার মনে হয় সে ইচ্ছে করে করেছে। একথা বারবার বলছেন তাকে। বাচ্চা সঠিক ভবিষ্যত গড়তে চাইলে এই অভ্যেস (Habits) আজই বদলান। সে সব ভুল ইচ্ছা করে এমন হতে পারে না, এটা বোঝার চেষ্টা করুন। তা না-হলে, বাচ্চার রাগ ও জেদ বেড়ে যাবে। তাই বুদ্ধি করা চলতে হবে। তার আচরণকে (Attitude) ভুল ভেবে বাচ্চাকে দুঃখ দেবেন না। জানার চেষ্টা করুন, কীভাবে এই স্বভাবের পরিবর্তন করবেন।